দিনাজপুরে আগাম জাতের আমন কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জেলায় এবার ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান আবাদ হয়। কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. আনিছুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে দুই লাখ ৭১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত তিন হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। এর মধ্যে আগাম জাতের আমন চাষ হয়েছে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে। যা গত বছর ছিল ৪৫ হাজার হেক্টর। এবার ২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন বেশি চাষ হয়েছে। চাল হিসেবে গড় ফলন ধারা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৩.১১ টন।
এদিকে আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। গত মৌসুমে আগাম জাতের বিনা ৯০ ধানের ৭৫ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছিল চার হাজার ২০০ থেকে চার হাজার ৩০০ টাকা। এবার সে ধান বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা। অপরদিকে বিনা ১৭, বিনা ৭৫, বিআর ৫১ ধান ৭৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২১৫০ টাকা থেকে ২২৫০ টাকা। যা গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৩০০ থেকে ৩১০০ টাকা। কাহারোল উপজেলার কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, ধানের দাম নেই। বাজারে ক্রেতাও নেই। এবার ধানে লোকসান না হলেও লাভের মুখ দেখবো না। জমি আছে তাই বাধ্য হয়ে চাষ করি। সদর উপজেলার মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, মৌসুমে আগাম জাতের বিনা ৯০ দানের দাম বেশি হওয়া এবারও সেই দান চাষ করেছি। কিন্তু পাইকার বা মিল মালিকরা ধানের দাম বলছেন না। দিনাজপুর জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন বলেন, আগাম জাতের যে ধান বাজারে এসেছে সেটি পরিমাণে অল্প। নতুন চাল বাজারে আসার মত ধান এখনো আসেনি। মিলারদের কাছে প্রচুর চাল রয়েছে। তাই বাজারে নতুন ধান উঠলেও চালের বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।