বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

দাম বেড়েছে চাল আলু চিনির

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। সঙ্গে পেঁয়াজের দামও কেজিপ্রতি কমেছে ১০ টাকা। তবে আগে থেকে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি চড়া থাকায় নতুন দামে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না ক্রেতারা। অন্যদিকে বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চালের দাম। আলুর দাম গত সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে আবার বেড়েছে। আর নতুন করে আরও কিছুটা বেড়ে চিনির দাম কেজিতে দেড়শো টাকা ছুঁয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমনটা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা। আর গত এক সপ্তাহে বেড়েছে কেজিতে প্রায় দুই টাকা। সঙ্গে এতোটা না বাড়লেও মাঝারি ও সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১-২ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের শেষ দিকে সরবরাহ কমায় বাজারে মোটা চালের দাম বাড়ছে। যদিও তথ্য বলছে, সরকারের গুদামে চালের মজুত পর্যাপ্ত। যে কারণে পাইকারি বাজারে একপক্ষের অভিযোগ- মিলারদের কারসাজির কারণেই মূলত চালের দামে উল্লম্ফন হয়েছে। মিল মালিকেরাই কৃত্রিম সরবরাহ সংকট তৈরি করেছে। বাজারে মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকা, যা এক মাস আগে ৫০-৫২ আর এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৩-৫৫ টাকা। মাঝারি আকারের মধ্যে প্রতি কেজি বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকা। আগে এ চালের দাম ছিল ৫৪-৫৬ টাকা। আর প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭২ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। যা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। মাঝে দাম কিছুটা নি¤œমুখী হলেও এখন আবার বাড়ছে। স্বাভাবিক সময়ে বছরজুড়ে এ আলুর দাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ, মানুষ বর্তমান দামের থেকে অর্ধেক দামে আলু কিনতে অভ্যস্ত। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে বাজারে আলুর সরবরাহ কম। এরমধ্যে ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। তবে যে সামান্য পরিমাণে আলু এসেছে, তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। পাড়া-মহল্লার কোন কোন দোকানে এ দাম ১৫০ টাকা পর্যন্ত। যেখানে গত ১ নভেম্বর চিনির বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে চিনি আমদানিতে কাস্টমস শুল্ক অর্ধেক কমানো হয়। কিন্তু তার কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। বরং এরমধ্যে দুই দফা চিনির দাম বেড়েছে। এদিকে, ভারত থেকে ডিমও আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তারও কিছুটা প্রভাব বাজারে রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বেশ কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। খুচরা বাজারে এখন প্রতি ডজন ডিম ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৩০ টাকা দরে। যা পাড়া-মহল্লার দোকানে ১৪০ টাকা। ডিমের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বাজার এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। এতে দামও কিছুটা কমছে। দুই-তিনটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। যেখানে দু-তিন সপ্তাহ আগেও সব ধরনের সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। তখন বেশিরভাগ সবজির কেজি ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে স্বস্তি মিলছে না পেঁয়াজের দামে। যদিও শুক্রবার কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা দরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় পেঁয়াজের এ দাম দ্বিগুণেরও বেশি। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য শুক্রবারের তুলনায় এদিন সকাল থেকে বাজারে ক্রেতা উপস্থিত কম দেখা গেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com