ঐতিহ্যবাহী বন্দরনগরী ও বাণিজ্যিক নগরী ভৈরবের তিন পাশ ঘিরে রেখেছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও প্রবাহমান মেঘনা নদী। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর খাল, বিল ও ডোবা। গত কয়েক বছর ধরে খাল, বিল ও ডোবা বেদখল সহ ভরাট করায় দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন কমছে। এ ছাড়াও রিং জালের প্রভাব এবং নদীতে অবৈধ ঘের তৈরী করায় মৎস্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। ফলে শহরের রানীবাজার, ফেরীঘাট, মনামরা ব্রীজ, গাছতলাঘাট ও জগন্নাথপুর বেনী বাজার সহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশীয় প্রজাতির মাছ তুলনামূলক কমে আসছে। এ সুযোগে মাছ বিক্রেতারা পাল্লা দিয়ে মাছের দাম বাড়াচ্ছে। গত বুধবার স্থানীয় গাছতলাঘাট বাজারের মাছ বিক্রেতা হোসেন মিয়া দেড় কেজি ওজনের ১টি পাঙ্গাস মাছের দাম চেয়েছেন দেড় হাজার টাকা। সাড়েং জাতের নদীর চিংড়ি ১৮ শ টাকা থেকে ২হাজার টাকা কেজি দাম চাওয়া হচ্ছে। ২ কেজি ওজনের আইড় মাছ প্রতি কেজি ১৬শ টাকা দাম হাকছেন বিক্রেতারা। দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি রিটা মাছ ৩ হাজার টাকা করে দাম চাচ্ছে। মাছের উচ্চ দামের কারনে ক্রেতাগন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মাছের মৌসুম হলেও দাম চড়া থাকায় ক্রেতাগন হতাশায় ভুগছেন। এক তথ্যে জানা গেছে , দেশে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশে^র ৫২ দেশে মাছ রপ্তানি হচ্ছে, গত ১৫ বছরে দেশে মাছের উৎপাদন ৮২ শতাংশ বাড়লেও দাম কমছে না। এ ব্যাপারে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, ক্রেতাগন সচেতন হলেই মাছের দাম কমে যাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের দাম নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। মাছ বিক্রেতা কাদির মিয়া, স্বপন ও কাউসার মিয়া বলেন, এ মৌসুমে বাজারে মাছ বেশী থাকার কথা কিন্তু উৎপাদন কম।