সকালে ঘুম থেকে উঠেই নয়, সারাদিনেও বেশ কয়েকবার কফি পান করেন কফিপ্রেমীরা। কেউ ব্ল্যাক কফি পান করেন, কেউবা পছন্দ করেন দুধ মিশ্রিত কফি। তবে কফির সঙ্গে দুধ মেশানো স্বাস্থ্যকর নাকি ক্ষতিকর তা হয়তো অনেকেরই অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সংমিশ্রণ ইমিউন কোষগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যকে দ্বিগুণ করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ কফির সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং ভালো। কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ কর্তৃক এই গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণাটি জার্নাল অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা কী বলছে? স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অ্যান্ড্রু উইলিয়ামস (গবেষণার সিনিয়র লেখকও তিনি) বলেছেন, ‘কফি বিনে থাকে পলিফেনল, অন্যদিকে দুধ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে হলে শরীরের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।’ এই গবেষণার প্রধান খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মারিয়ান নিসেন লুন্ড জানান, পলিফেনল একটি অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, ইমিউন কোষে প্রদাহের উপর এর প্রতিরোধক প্রভাব বাড়ায়। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো প্রদাহের উপশম ঘটে। গবেষণাটি স্বাধীন গবেষণা তহবিল ডেনমার্ক দ্বারা অর্থায়ন করা হয় ও জার্মানির ড্রেসডেনের টেকনিকেল ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা, কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের গবেষকরা গবেষণাটি পরিচালনা করেন। তারা দেখার চেষ্টা করেছেন, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিনের বিল্ডিং ব্লকের সঙ্গে মিলিত হলে পলিফেনল কেমন আচরণ করে শরীরে। পলিফেনল হলো প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলোর একটি গ্রুপ, যা মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যা স্বাস্থ্যকর রাসায়নিক পদার্থ ও অঙ্গগুলোর অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে। পলিফেনল বিভিন্ন ফল, সবজি, চা ও কফিতে পাওয়া যায়। পলিফেনল শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা প্রদাহের জন্ম দেয়। তবে চা বা কফির সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি মিশিয়ে পান করবেন না। কারণ চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সূত্র: সায়েন্স ডেইলি