সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ অপরাহ্ন

পাতানো নির্বাচনে জড়িতদের বিচার হবে জনতার আদালতে: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘একতরফা পাতানো’ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রিজভী বলেন, আজকে দেশ-জাতি ও আন্তর্জাতিক মহলের মতামতকে উপেক্ষা করে প্রহসনের নির্বাচন করার জেদ অব্যাহত রেখেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। অথচ জনরোষ এবং আন্তর্জাতিক মহল সবদিক থেকে আজকে এই সরকারের বিষয়ে যে ওয়াকিবহাল এবং মানুষের জনরোষ যে কত তীব্রতর হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে কত বিরূপ এই পাতানো নির্বাচনের জন্য। তারা মনে করছেন, আমরা সব কিছু মিলিয়েই বৈতরণি পার হয়ে যাবো। আমরা বলতে চাই, সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং দালালরা এরা কেউ কিন্তু ছাড় পাবেন না। জনগণের আদালত গঠিত হচ্ছে এবং এই আদালতে তাদের প্রত্যেকটি অপকর্মের জবাব দিতে হবে। রিজভী বলেন, সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে কী হবে, বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে.. এর কোনো খেলায় তারা রাখতে চান না, রাখছেন না। আজকে গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শেখ হাসিনা নির্বিকার। এর ওপর যদি গার্মেন্টেস পণ্য রপ্তানির ওপরে স্যাংশন আসে কত মানুষ যে বেকার হবে, কত নারী যে বেকার হবে, কী পরিমাণ এই ছোট্ট একটি ভূখণ্ডের এত মানুষ ১৮০ মিলিয়ন মানুষ যাদের কর্মসংস্থান যদি না থাকে, গার্মেন্টস শিল্পের ওপর যদি আঘাত আসে তাহলে কী পরিণতি হবে শেখ হাসিনা সেটা ভাবছেন না। কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পকে একটা ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি মজবুত হোক সেটা তিনি চান না। তার দরকার হচ্ছে অমল-ধবল। আর সেই কারণেই খেল-তামাশার নির্বাচন করার জন্য তিনি মরিয়া। আর এটা করতে গিয়ে এদেশকে কী পরিমাণ খেসারত দিতে হচ্ছে এবং হবে তার কোনো ঠিকানা নেই।
সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, শীর্ষ নেতাদের বন্দি রেখেছেন কীসের কারণে? একতরফা নির্বাচন নিশ্চিত করার কারণে শেখ হাসিনা আপনি করেছেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যিনি সবচাইতে আপসহীন জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছেন কিসের জন্য? একতরফা নির্বাচন করার জন্য, পথের কাঁটা দূর করার জন্য, নির্বিঘ্নে আপনার অপশাসন-অপকীর্তি-দুর্নীতি-অনাচার যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য। আর এটার জন্য কথা বললে সেটা হয়ে যায় ষড়যন্ত্র। চক্রান্তকারীরা চক্রান্তের বিরুদ্ধে কথা বললে সেটাকে মনে করে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা সেটাই মনে করছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব মন্ত্রী, তার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী এটা তো চক্রান্তের সফল, জনগণকে প্রতারণার ফল এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করার ফল হচ্ছে আজ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আর ওবায়দুল কাদের সাহেবরা মন্ত্রিত্ব করছেন। গত ১৫ বছর ধরে সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নিরুদ্দেশ করে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে’ বলে অভিযোগও করেন তিনি। তিনি বলেন, আর জনগণ যার পক্ষে থাকে, জনশক্তি যার সাথে থাকে তারা কোনোদিন পরাজিত হয় না। হয়ত সাময়িকভাবে আমরা উৎপীড়িত, আমরা নির্যাতিত, আমরা নিপীড়িত। কিন্তু নিপীড়ন নির্যাতনের সমস্ত আঘাত একদিন প্রতিঘাত হিসেবে এই অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে, প্রত্যাঘাত করবে এবং গণতন্ত্রের বিজয় হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com