বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের তারাবুনিয়াস্থ নির্মানাধীন ‘আলীকদম কলেজ পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ১১ডিসেম্বর (সোমবার) বিকেলে লামা প্রেসক্লাব হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন, ছালেহা বেগম নামের এক অসহায় নারী। ছালেহা বেগম তারাবুনিয়াস্থ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ছালেহা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ ইসমাইল, মেয়ে তাহমিদা তাসরিয়ান তাহা ও ছেলে হাসান মোহাম্মদ নুরুল হাসনাত উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ছালেহা বেগম বলেন, আমার স্বামী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ক্ষুদ্র ব্যবসা করে পরিবারের ভরন-পোষন ও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে আসছেন। ২০০৯ সালে আমার স্বামীর বহু কষ্টে অর্জিত টাকায় চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের তারাবুনিয়াস্থ লামা-আলীকদমের সড়কের পাশে ১একর প্রথম শ্রেণির জমি ক্রয় করি। যাহার হোল্ডিং নং-১৬১, ২৮৯নং চৌক্ষং মৌজা। বর্তমানে এই জমি চাষাবাদের মাধ্যমে আমার পরিবার ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছি। সম্প্রতি আলীকদম কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. জামাল উদ্দিন, সদস্য শাফিউল আলম মেম্বার, অংশৈ থোয়াই মার্মা ও মমতাজ উদ্দিন আহমদ সংঘবদ্ধ হয়ে আমার দীর্ঘ বছরের ভোগ দখলীয় জমিতে কলেজ নির্মাণের জন্য গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে জোর পূর্বক খুটি স্থাপন করেন। জমিতে খুটি স্থাপনের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে উল্লেখিত কমিটির লোকজন কৌশলে আমাকে মোটর সাইকেল যোগে অন্যত্র নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে জমি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিনাম ভালো হবেনা বলেও হুমকি দেন কমিটির লোকজন। তাই নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক জমি যেন জবর দখল করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান ভুক্তভোগী ছালেহা বেগম। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরও জানান, এ জমি ছাড়া তার আর কোন জমি নাই। এ জমিই আয়ের উৎস্য। জোর পূর্বক জবর দখলে নিলে দুই সন্তানের লেখাপড়া ও ভরন পোষণ একেভারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। কলেজ পরিচালনার কমিটির সদস্য অংশৈথোয়াই সাংবাদিকদের জানান, আমরা কারো জায়গা দখল করি নাই,এটা কলেজ নির্মাণে বাধাগ্রস্ত করতে অপপ্রচার মাত্র।