দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর- শান্তিগঞ্জ) আসনের নৌকার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা যুক্তরাষ্ট্র ব্রঙ্কস আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ এ মুহিত। তিনি দেশে এসে পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সিদ্দিক আহমদ সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেন। ইতোমধ্যে তিনি সুনামগঞ্জ -৩ আসনের নৌকার প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নানের সাথে জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী বাজার, মিরপুর বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। আ.লীগ নেতা মুহিত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ সব সময়ই জনকল্যাণে নিবেদিত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। এদেশে যতসব ভাল অর্জন সবই আওয়ামী লীগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। তিনি দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। আ.লীগ নেতা এ মুহিত জানান, ১৯৮৫ সালে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের শাষনামলে হ্যা, না ভোটের সময় ভোট চলাকালীন সময়ে না ভোটের বাক্স উল্টে রাখার কারণে আমি এর প্রতিবাদ করায় ভোট কেন্দ্রে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর লোকজন আমাকে গ্রেফতার করতে আমাদের বাড়িটি ঘেরাও করে অভিযান চালায়। তিনি বলেন আমি বাড়িতে না থাকায় আমাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তৎকালীন সময় বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজি রেজাউল করিম রিজু এর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। তিনি আরো জানান, ১৯৮৯ সালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জগন্নাথপুরে আগমন উপলক্ষে তাকে এবং জামাল উদ্দিনকে গেইট তৈরী করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই সময় জাতীয় পার্টির লোকজন গেইট নির্মাণকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় আমার উপর হামলা করে আহত করে। তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমাকে দেখেন এবং শারিরিক খোজ খবর নেন। ৪১বছর ধরে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছন মোহাম্মদ এ মুহিত। তিনি ১৯৭৯ সালে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে স্ব-পরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে গিয়েও তিনি থেমে যাননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে দলের জন্য কাজ করছেন। তিনি ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক মহানগর যুবলীগের সভাপতি, ২০০৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র জেলা যুবলীগের সহ- সভাপতি, ২০০২ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ব্রঙ্কস আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ১৯৯২ সালে বর্তমান জগন্নাথপুর পৌরসভা তৎকালীন ৪ নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে চাকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৩ সালে জন্ম গ্রহন করেন। সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর আশিঘর পাঠানবাড়ি এলাকার মরহুম শাহিদ আলী ও মরহুমা ইলিয়াছ বিবির ছোট ছেলে। দুই পুত্র সন্তানের জনক মোহাম্মদ এ মুহিত যুক্তরাষ্ট্রে সততা ও নিষ্টার সাথে জীবন যাপন করে আসছেন। প্রথম সন্তান ডাঃ ওবায়েদ মুহিত নিউ ইয়র্ক আল-বার্ড আইন স্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বিতীয় পুত্র নাহিন মুহিত নিউ ইয়র্ক নর্থ ওয়েল হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কর্মরত রছেছেন। তিনি তার ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনা করে সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।