বাগেরহাটের চিতলমারীতে কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ (কালব), এর ম্যানেজার মোঃ হারুন আর রশীদের বিরুদ্ধে ঋন প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রেসক্লাব চিতলমারী এর নিজস্ব কার্যালয়ে উপজেলার কলিগাতী দক্ষিন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সহিদুল ইসলাম ও উপজেলার আড়–য়াবর্নী পশ্চিম চর পাড়া নতুন হাটের ছিট কাপড় বিক্রেতা মোঃ ইলিয়াস শেখ, এই দুর্ণীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, কালব ম্যানেজার হারুন আর রশীদ ঋন প্রদান করবেন বলে, ইউনিয়ন ভিত্তিক সমিতি গঠন ঋন নিতে বলেন। নির্দেশ অনুযায়ী তার অফিস থেকে সরবরাহকৃত ১৮০টি ফরম পুরন করেন সহিদুল ইসলাম ও ইলিয়াস। ফরম পুরনের পর অফিসের নিয়ম দেখিয়ে ঋনের পুর্বে শিক্ষক শেখ সহিদুল ইসলামের সমিতির রেজিষ্ট্রি ফি বাবদ ৩০ হাজার এবং ৩০ জনের তিনটি গ্রুপ সদস্যের মোট ৯০জন লোকের কাছ থেকে ৯০০ টাকা হারে ৮১ হাজার টাকাসহ সর্ব মোট-১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ম্যানেজার মোঃ হারুন আর জমা নেন। একই সাথে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার আড়–য়াবর্নী পশ্চিম চর পাড়া নতুন হাটের ছিট কাপড় বিক্রেতা মোঃ ইলিয়াস শেখ জানান, কালব ম্যানেজার হারুন তাকে ব্যবসার জন্য ২০ লক্ষ টাকা ঋন প্রদানের কথা বলে তার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন সহ ৯০জন সদস্যের গ্রুপ ভিত্তিক তাদেরও ঋন দেবেন বলে প্রতিজনের ৯০০টাকা হারে ৮১হাজার টাকাসহ মোট-২লক্ষ ৩১ হাজার টাকা জমা রাখেন। এছাড়াও দোকান থেকে প্যান্টের পিচ,শার্টের পিচ এবং স্ত্রীর জন্য থ্রি-পিচসহ অনেক উপ-ঢৌকন নেন। এ অবস্থায় প্রায় ৬মাস অতিবাহিত হলেও তাদের সমিতিতে ঋন প্রদান করেননি ম্যানেজার হারুন। তাকে ঋন প্রদানের কথা বলা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন। এবং সদস্যদের জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে টাকা তিনি নেননি বলে অস্বীকার করেন। এ অবস্থায় সদস্যদের ৩ লক্ষ ৫২হাজার টাকার চাপের মুখে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। এব্যপারে উপজেলা সমবায় অফিসার মোল্লা সাইফুল ইসলাম জানান, আইনত সমিতি রেজিষ্ট্রি করে সদস্যদের মধ্যে ঋন বিতরণ করা হয়। এর ব্যতিরিকে কারো কাছ থেকে টাকা নিলে সেটা সমবায় আইনে অপরাধ। কালব এর কেন্দ্রীয় জেনারেল ম্যানেজারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তদন্তে বিষয়টি সত্যহলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কালব এর সাবেক চেয়ারম্যান এসএম ইদ্রিসুর রহমান বলেন, ফরম গুলো আমাকে দেখানো হয়েছে। ভুক্তভোগিরা টাকার দিয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছে। উপজেলা কালব ম্যানেজার হারুন আর রশীদ মুঠো ফোনে জানান অভিযোগ মিথ্যা। আমি কোন প্রকার টাকা গ্রহন করিনি।