শীতের শুরুতে বাজারে প্রায় সব সবজির দাম একটু বেশি-ই থাকে। এ সময় নি¤œমধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে ডিম। কিন্তু সেই ডিম কিনতে এখন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবিত্ত শ্রেণী। কারণ কলকাতাসহ প্রায় পুরো পশ্চিমবঙ্গে ফের বেড়েছে ডিমের দাম।
প্রত্যেক বড়দিনের আগে পশ্চিমবঙ্গে এভাবেই বাড়ে ডিমের দাম। তবে এবার ডিমের দাম বাড়ার মাত্রা অন্য যেকোনো বারের তুলনায় অনেক বেশি। রাজ্যে ডিমের দাম এমনভাবে কখনোই বাড়তে দেখা যায়নি। ডিমপ্রতি ১ দশমিক ৫০ রুপি, কোথাও আবার ডিমপ্রতি দাম ২ রুপি করে বেড়েছে।
খুচরা বাজারে মুরগির একটি ডিমের দাম পড়ছে ৭ দশমিক ৫০ রুপি। জোড়া নিলে ১৫ রুপি। আবার কোথাও প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮-৯ রুপিতে। জোড়া নিলে ১৬ রুপি। হাঁসের ডিম একটির দাম ১০ রুপি, কোথাও আবার ১২ রুপি। জোড়া নিলে ২০ রুপি। কোথাও কোথাও আবার এক জোড়া হাঁসের ডিম ২৪ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ডিমের দাম একেক রকম। পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, ডিমের এই বাড়তি দাম হয়তো আরও কয়েক মাস থাকবে। কলকাতার পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনের সভাপতি হরিদাস বিশ্বাস বলেন, এখানে এই প্রথম একটি ডিমের দাম সাত টাকা পেরেলো। এই খাবার এখন মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বড়দিনের আগে যোগানের থেকে চাহিদা বেশি থাকায় ডিমের দাম বাড়ে ও কিছু দিনের মধ্যেই তা ঠিক হয়ে যায়। তবে এবার হয়তো এই দাম আরও কয়েক মাস একই রকম থাকবে। অনেক পাইকারী বিক্রেতার মতে, আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি থাকবে।
কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহর বরানগরের পাইকারী ডিম বিক্রেতা ভোলা বনিক বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে যে ডিম পশ্চিমবঙ্গে আসতো, সেই ডিমের যোগান কমে গেছে। এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে কেক তৈরি হয়, সেখানেও অনেক ডিম লাগে। ফলে ডিমের একটু টান আছে। তবে এই দাম কয়েক মাসের মধ্যে কমে যাবে। খুচরা বাজারে ডিম কিনতে আসা এক ক্রেতা অশোক সরকার বলেন, বাঙালি বলুন আর অবাঙালি বলুন, ডিম সাবার প্রয়োজন। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ডিম জড়িয়ে রয়েছে। হঠাৎ করে তার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়লো। ফলে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।