রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জামালপুর জেলার তিন হাজার প্রান্তিক পরিবারকে উন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে ইসলামপুরে সিডস কর্মসূচির অবহিতকরণ সভা কে হচ্ছেন নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেশবপুরে সংবাদ সম্মেলন চিলাহাটি প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক মেয়াদের কমিটি গঠন বদলগাছীতে কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ উলিপুরে ইউড্রেনের দুই পাশের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দিত কালীগঞ্জে সরকারি স্থান থেকে ফুলের হাট স্থানান্তর: বিপাকে প্রতিবন্ধী ইজারাদার পিআইবি,র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলো নগরকান্দা ও সালথার সাংবাদিক বৃন্দ গজারিয়া স্বপ্নপূরণে ছেলেকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করালেন স্কুলশিক্ষক বাবা বরিশালে প্রচন্ড তাপদাহে বাড়ছে তালপাখার চাহিদা

চকরিয়ার হারবাংয়ে করে বনভূমি দখল বসতবাড়ি নির্মাণের হিড়িক!

অলি উল্লাহ রনি (স্টাফ রিপোর্টার) কক্সবাজার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধীনে চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন হারবাং বনবিটের বনভূমি দখলের চলছে মহোৎসব। প্রতিনিয়ত বনভূমি দখল করে ও পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। বনভূমি দখল হয়ে যাওয়ার কারণে ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। আবাসভূমি হারাচ্ছে নিরীহ বন্যপ্রাণীগুলো। এক প্রকার হারবাং বনবিটের অধীনে বনবিভাগের জায়গাগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় বনভূমি শূন্য হওয়ার পথে। সরেজমিন সাংবাদিকরা বনভূমি দখল হওয়ার নেপথ্যে কারা জড়িত রয়েছে এবিষয়ে অনুসন্ধানে নামলে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হারবাং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড করমুহুরীপাড়া নামক স্থানে মোঃ খোরশেদ নামের এক ব্যক্তি বনভূমির জায়গার উপর নির্মাণ করে যাচ্ছে ইটের স্থায়ী স্থাপনা। এসময় সাংবাদিকরা সরেজমিন খোরশেদের স্ত্রীর কাছে বনভূমির জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও হারবাং বনবিটের কর্মচারীদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেই তারা স্থায়ীভাবে বনবিভাগের জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছে। টাকা নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ থেকে বাঁধা আসলেও টাকা দিয়ে দেওয়ার পর কোন ধরনের বাঁধা ছাড়াই তারা বসতবাড়ি নির্মাণ করতেছে। এ সংক্রান্ত গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। অন্যদিকে, হারবাংয়ের ইনানী লাগোয়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার ভগ্নিপতি পরিচয়ে বনভূমি দখল করে পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। যার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এছাড়াও হারবাং বনবিটের অধীনে আরো অন্তত ৩টি বসতবাড়ি নির্মাণাধীন রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের দাবি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মচারীদের ম্যানেজ করেই তারা বনভূমিতে স্থায়ী বসতবাড়ি নির্মাণ করছে। এবিষয়ে চুনতি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া’র সাথে কথা বলতে সাংবাদিকরা হারবাংস্থ বনবিট অফিসে গেলে তিনি তখন সেখানে অনুপস্থিত থাকায় তার সাথে এ বিষয়ে সরাসরি কথা হয়নি। পরে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে টাকার বিনিময়ে তারা ম্যানেজ হয়ে বনভূমির জায়গা দখলপূর্বক স্থায়ীভাবে বসত বাড়ি নির্মাণ করতে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, টাকার বিনিময়ে আমি কখনো কোন বনভূমি দখলবাজদের হাতে বনভূমির জায়গা দেইনি। সাধারণত বনভূমি দখল করে যারা বসতবাড়ি নির্মাণ করে বা পাহাড় কাটে তারা এমনটি সবসময় বল। নির্মাণাধীন বসতবাড়ি’র মালিকদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তা প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য: বনবিভাগের পাহাড় কেটে ও বনবিভাগের জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করা ব্যক্তিরা রেঞ্জ কর্মকর্তা-বিট কর্মচারীদের ম্যানেজ করে স্থায়ী বসতবাড়ি নির্মাণ করছে বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তার সকল ভিডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com