সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের ছাড়াই একের পর এক কীর্তি গড়ছে বাংলাদেশ। করছে অসাধ্য সাধন। তাদের অনুপস্থিতি বুঝতেই দিচ্ছেন না তরুণরা। অনন্য সব অর্জনে কেড়ে নিচ্ছেন বিশ্ব ক্রিকেটের নজর। এই ধারাটা ধরে রাখতে চান তাওহীদ হৃদয়। সেই সাথে বাস্তবতা মেনে নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের মাঠে তাদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। মাউন্ট মঙ্গানুইতে রোববার জিতলেই গড়বে ইতিহাস, যেই স্বাদ এর আগে কখনো পায়নি দল। এর আগে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন তাওহীদ হৃদয়। কথা বলেন দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে।
তাওহীদ হৃদয় তুলে ধরেন তারুণ্য নির্ভর দলের আত্মবিশ্বাসের গল্প। পপ পা-বের কেউ নেই, নেই অভিজ্ঞ লিটন দাস, তাসকিন আহমেদও। তবুও দলটা কী করে এত দৃঢ়, তাই জানান হৃদয়। বলেন, দলে কে আছে কে নেই এত কিছু তারা দেখেন না। সুযোগ পেলে কাজে লাগিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখাতেই নজর তাদের।
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে হৃদয় বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে যখন যে খেলোয়াড়ই খেলতে নামুক চেষ্টা করে দেশকে দেয়ার এবং দায়িত্ব নেয়ার। খেলোয়াড়রা জেতার জন্যই মাঠে নামেন। কে আছে কে নেই এত কিছু দেখি না। আমাদের মধ্যে ওই বডি ল্যাঙ্গুয়েজই থাকে যেন জিততে পারি। আমাদের সবার বিশ্বাস আছে ভালো করব।’
তবে বড়দের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথেই স্বীকার করেন হৃদয়। যদিও কেউ থাকবে কেউ থাকবে না, বিষয়টাকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মনে করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের বড় ভাই যারা ছিলেন তারা দেশের জন্য অনেক কন্ট্রিবিউট করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন এখানে খেলত। এটা এমন একটা জায়গা, সবাই সবসময় থাকবে না। এখন আমরা আছি, একসময় আমরাও থাকব না। এটাই স্বাভাবিক।’
উল্লেখ্য, আজ রোববার ভোরে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে লাল-সবুজের দল। মাঝে দ্বিতীয় ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।