চট্টগ্রাম-৪ আসনে প্রতিদ্বদ্ধী প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচার-প্রচারনা শেষে নির্বাচনী আমেজ বেশ জমে উঠেছে। নৌকা, ঈগল আর লাঙ্গল প্রতীকের পোস্টারে সর্বত্র ছেয়ে গেছে প্রতিটি অলি-গলি। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার সমাপ্তি ঘটলেও কোনো সহিংসতার ঘটনা না থাকায় ভোটারদের মধ্যে নেই কোন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৭জন প্রার্থী। নৌকা প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দু‘বারের নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, ঈগল প্রতীকে লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পাটির দিদারুল কবির (দিদার), চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফের মোহাম্মদ আকতার হোসেন ও সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির খোকন চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৮৯৬ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৪ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ২১২ জন। নির্বাচনী এলাকার মোট ভোট কেন্দ্র ১২৪ ও বুথ সংখ্যা ৯৩৯টি। চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে প্রথম বারের মতো নৌকার টিকিট পেয়েছেন দু‘বারের নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুন। তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অলি-গলিতে ধারাবাহিক ভাবে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম‘সহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছেন তিনি। নৌকার প্রার্থী এস এম আল মামুন বলেন, আমার পিতা এ,বি,এম আবুল কাশেম মাস্টার সীতাকুণ্ড উপজেলার মাটি ও মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয় নেতা ও দু‘বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমিও জীবনের প্রতিটি মর্হূত্ব এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। তিনি আরো বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে আমি এলাকার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করেছি। গর্বিত পিতার অনুস্বরণে জনগনের সেবায় আমি সব সময় তৎপর ছিলাম ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখতে চাই। নির্বাচিত হয়ে পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচনী এলাকা‘কে স্মার্ট সীতাকুণ্ড হিসেবেও গড়ে তুলতে চাই। এদিকে হাইকোর্টে রিটে মনোনয়ন ফিরে পেয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান। গণসংযোগে অংশ নিয়েছেন সীতাকু-ের সাবেক সংসদ সদস্য আইনুল কামাল, মেঝ ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ ইকরাম, চট্টগ্রাম শিপ ব্রেকিং শিল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রার্থীর বড় ভাই মোহাম্মদ ইকবাল, প্রার্থী‘র সহধর্মীনি নিশাত ইমরান, দু‘পুত্র সারতাজ মোঃ ইমরান ও সারফারাজ মোঃ ইমরান। প্রার্থী লায়ন মোহাম্মদ ইমরান বলেন, অপরাধমুক্ত সুশিক্ষিত সমাজ গড়াই হবে আমার একমাত্র লক্ষ্য। সীতাকু- একটি সম্ভাবনাময় উন্নয়নমূখী ও চট্টগ্রামের সর্বাধিক রাজস্ব আদায়কারী উপজেলা। শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্বেও সীতাকু-ের চাহিদানুযায়ী উন্নয়ন হয়নি। তাই নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন‘কে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি সমৃদ্ধ স্মার্ট সীতাকুণ্ড গড়তে আপনাদের সমর্থন কামনা করছি। জনগনের সমর্থন পেলে সীতাকু-বাসীর এ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব দিদারুল কবির (দিদার) চতুর্থ বারের মতো লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নই আমার অঙ্গীকার। বর্তমান সরকারের সময় সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সীতাকু-ে উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন হয়নি। আমি সীতাকু-ের গণমানুষের কল্যাণে পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এদিকে অন্যান্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা কেবল পোস্টারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে ভোটার‘রা জানান।