এক বছর মেয়াদি ফসল কলা। বারো মাস লাভের আশায় কলা চাষ করেছিলেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চাষিরা। সম্প্রতি হরতাল-অবরোধের কারণে কলার দাম তেমন না থাকায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের চোখে মুখে। উপজেলার এক-তৃতীয়াংশই পাহাড়ি অঞ্চল। চলতি মৌসুমে ১১৫০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। সাগরদীঘি, দেওপাড়া, ধলাপাড়া, লক্ষিন্দর, রসুলপুর, সন্ধানপুর ও সংগ্রামপুরের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথমদিকে ভালো দাম পেলেও কলার দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুনছেন চাষিরা। সাগরদিঘী গ্রামের নাসির সিকদার জানান, সাগরদীঘি এলাকায় কলার ২০ জন বড় চাষি রয়েছেন। অধিকাংশ চাষিই সাগর কলা চাষ করেন। এ বছর তিনি ৮৫ বিঘা জমিতে কলার আবাদ করেছেন। প্রায় ৭৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর যে কলা ছড়া প্রতি ৫২০ টাকায় বিক্রি করতাম তা এবছর দাম যাচ্ছে ২৫০ টাকা। লাভ নয়, বরং ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। কৃষক আব্দুল কাদের জানান, মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য কলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গবাদি পশুও। তিনি ১০১ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। তাঁর প্রায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। কলা ব্যবসায়ী হারুন মিয়ার বলেন, ‘কলার বড় একটি চালান আমরা গার্মেন্টে দিতাম, প্রায় সব গার্মেন্টে টিফিন বন্ধ। এখন আর তা হচ্ছে না। ঢাকার পাইকারি বাজারেও খুব একটা টান নেই। কলার দাম গত বছর এই দিনে যা ছিল, এ বছর তার অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাজারটা নির্ভর করে সাধারণত মার্কেটিং পলিসির ওপর। কৃষক বাঁচানোর জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান।