আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাই দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে এবং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোবাবেলায় তরুণদেরকে ফ্যাসীবাদ, স্বৈরাচার, ক্ষুধা-দারিদ্র, শোষণ, বঞ্চনামুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ গণপ্রতিনিধিত্বশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসা।
গতকাল রোববার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের বিদায়ী দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক প্রীতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম ও শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, বৃহত্তর আন্দোলনের বীজতলা হচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। মূলত, ছাত্র আন্দোলনই হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের জীবনী শক্তি। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোনোভাবেই অবসর নেয়ার সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত এই আন্দোলনে অবিচল ও অপসহীন থাকতে হবে। বস্তুত কালের বিবর্তনে ও সময়ের প্রয়োজনেই শিক্ষার্থীদের ছাত্র আন্দোলনের যবনিকা টানতে হয়। তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যোগ দেয়ার মাধ্যমেই মূলত আন্দোলন গতিশীল, সমৃদ্ধ ও শাণিত হয়ে ওঠে। এভাবেই ইসলামী আন্দোলন মঞ্জিলে মকসুদের দিকে অগ্রসর হয়। তিনি ইসলামী আন্দোলনের সদ্য বিদায়ীদের বৃহত্তর আন্দোলনে স্বাগত এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মূলত, যৌবনকাল হচ্ছে আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। তাই এই নেয়ামতের যথাযথ সংরক্ষণ এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করা সকল মুসলিম যুবকের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে রাসূল তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিদায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ময়দানে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, তারুণ্য ও যৌবনকালের ইবাদাত সর্বোত্তম ইবাদাত। পবিত্র কালামে হাকীমের সূরা আত তাওবাহর ৪১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,‘তোমরা তরুণ ও বৃদ্ধ সকল অবস্থায় বেরিয়ে পড় এবং তোমাদের মাল ও জান দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম পন্থা, যদি তোমরা বোঝ’। তাই যুব সমাজকে ঘরে বসে অবসর নেয়ার সুযোগ নেই বরং দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে তাদেরকে সর্বশক্তি নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিদায়ী ছাত্রআন্দোলনের ভাইদের ময়দানে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি/