মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতে মন্ত্রিসভার সদস্যরা পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার নির্বাচনে আমরা যে ভোট পেয়েছি, তা প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ যে আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে তারই ফল। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার একটাই কারণ, তারা চায় উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকুক। কাজেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ও দেশের অভ্যন্তরে বৈরী পরিবেশ আছে। সেগুলো মোকাবিলা করেই এগোতে হবে এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। ইশতেহার অনুযায়ী করণীয় সুনির্দিষ্ট করে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অদ্ভুত ব্যাপার হলো খাদ্যপণ্যের যখন একটু দাম বাড়ে, কৃষক খুশি হয়; কিন্তু ভোক্তারা দুঃখ পায়, তাদের ওপর চাপ এসে পড়ে। এখানে ভারসাম্য করতে হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আমাদের প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে খেয়াল রাখতে হবে, কোনোরকম অপচয় যেন না হয়। মিতব্যয়ী হতে হবে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চলতে হবে। যেসব জিনিস খুব বেশি প্রয়োজন নেই সেখানে অহেতুক খরচ করবো না। হিসাব করে চলতে হবে, সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন।
তিনি বলেন, যেহেতু একটা চক্রান্ত এখনও পেছনে আছে, বাজারে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে কীভাবে জিনিসের দাম বাড়ানো যায়; এরাও অনেক সময় চেষ্টা করে। মানুষকে সরকারের প্রতি বিক্ষুব্ধ করা যায়, এটারও চক্রান্ত আছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে। উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে নতুন সরকার গঠন করা হয়। এ সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। শিখা অনির্বাণে সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকারকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে। এসময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। পরে,শেখ হাসিনা যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন। এরআগে, প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে তিন বাহিনীর প্রধানগণ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।