পাতানো নির্বাচন ও অসাংবিধানিক ‘ফাইভ পার্সেন্ট’ সংসদ বাতিলের দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। বিকাল তিনটায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন সহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলের শুরুতেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন সহ বিভিন্ন জায়গায় সেল্ফি তুলে বেচা-বিক্রি করছে এখন বাকি আছে শুধু ভোট কেন্দ্রে বসে থাকা কুকুর বিড়াল বানরদের সাথে তোলা সেল্ফি। তিনি বলেন, সরকার এতটাই হীনমন্যতায় আছে আজ তাকে পাকিস্তানের স্বীকৃতিও বেচতে হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পৃথিবীর যে কেউই স্বীকৃতি দিকনা কেন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের এই প্রহসনের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। কাজেই এই নির্বাচন বৈধতা পাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমরা এই নির্বাচন, এই অবৈধ সংসদ কখনো মেনে নেবোনা।
বিএম নাজমুল হক বলেন, অবৈধ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলছে। যতদিন মানুষ ভোট দিতে পারবেনা, তাঁর অধিকার পাবেনা ততদিন আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে একদলীয় শাসন পরিপূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচন করানো হয়েছে। অথচ স্বৈরাচারী রাজা ও এক ব্যক্তির স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির জন্য সারা বিশ্বের মানুষ সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রামের মাধ্যমেই গণতন্ত্র ও বিশ্বজনীন মানবাধিকারের ধারনা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারা পৃথিবী যখন আরও বেশী মানবিক ও গণতান্ত্রিক হওয়ার জন্য উন্নত জবাদিহিতামূলক পথ খুঁজছে আওয়ামীলীগ তখন আমাদেরকে আদিম যুগে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন অতীতে একদলীয় শাসনের স্মৃতি আমাদের জন্য সুখকর ছিলোনা। ব্যক্তির ইচ্ছা আর হুকুমেই যদি সব হবে তাহলে সংবিধান আর আইন কানুনের কী দরকার?
তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, একদলীয় আওয়ামী শাসন দেশকে সংঘাত ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে। সেই সংঘাত দেশকে ঘোর অন্ধকার যুগে নিয়ে যাবে বলে তিনি শংকা প্রকাশ করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ডক্টরেট ডিগ্রি কেনায় ব্যস্ত ছিলো। এখন তিনি অভিনন্দন কেনায় ব্যস্ত।পৃথিবীর কোথাও সরকার ভোটে জেতার ১০/১৫ দিন পর অভিনন্দন দেওয়ার খবর আমরা জীবনে দেখিনি। এটা জনগণের লুটের টাকায় কেনা অভিনন্দন। এই ক্রয়কৃত অভিনন্দনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী রাণীর বৈধতা পাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। পৃথিবীর কোথাও মজলুমের আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি আমরাও ব্যর্থ হবোনা, আমরা বিজয়ী হবোই হবো ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠিনক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, নজরুল ইসলাম, আমেনা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার অপি, মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, রিপন মাহমুদ, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি