রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
খেলাধুলার মাধ্যমে মাদককে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে-মাফরুজা সুলতানা মাইলস্টোন কলেজে নবম শ্রেণির বালিকাদের অংশগ্রহণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ  ‘বিবেচনায় রয়েছে’: বদিউল আলম ১৬ বছর বঞ্চিতদের এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বইমেলয় স্টল বরাদ্দের দাবি ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম আমাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান খোঁজার মানুষ তৈরি করছে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা সেন্টমার্টিন: ‘স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগবে: মির্জা ফখরুল

রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চলে আলো ছড়াচ্ছে পাপড়ি অধিকার প্রকল্প

মনিরুজ্জামান (রায়পুরা) নরসিংদী
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪

দুর্গম চরাঞ্চলে আলো ছড়াচ্ছে পাপড়ির অধিকার প্রকল্প বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাপড়ি তিন বছর মেয়াদি ‘অধিকার প্রকল্পের শেষ বছরের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদ সম্মেলন করেছে এ প্রকল্পের কর্মকর্তারা। রায়পুরা প্রেসক্লাব কনফারেন্স কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রায়পুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নূরউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অধিকার প্রকল্পের সোস্যাল মবিলাইজার শফিকুল ইসলাম সরকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী মো: আলা উদ্দিন, সহকারি প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. নাজিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: আলা উদ্দিন বলেন- গত মার্চ ২০২১ এ অধিকার প্রজেক্টের যাত্রা শুরু হয়। রায়পুরা উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের চাঁনপুর ইউনিয়নে শাপলা নীড় বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সাপোর্টে এবং মোফার আর্থিক সহায়তায় পাপড়ি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন শুরু করে। মো: আলা উদ্দিন আরও বলেন- চরএলাকার বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট থাকায় ০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রজেক্ট ০৯জন প্যারা শিক্ষক দিয়ে সহযোগিতা করে। যেসমস্ত শিশুর পরিবারে শিশুকে পড়ালেখায় সহযোগিতা করতে পারছেনা এমন শিশুদের তালিকাভূক্ত করে পাড়ায় পাড়ায় লার্ণিং স্পটের মাধ্যমে শিক্ষা সহায়তা দেয়া হয়। সেখানে ০৯জন এডুকেশন ফ্যাসিলিটেটর দায়িত্ব পালন করে যারা প্রজেক্ট কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। করোনকালীন লার্নিং স্পটে গেদারিং না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট পরিসরে বাড়ি ভিত্তিক পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় প্রজেক্টের প্যারাটিচারগণ বাড়ি ভিত্তিক পাঠদানে অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘ ১৮ মাস পরে বিদ্যালয়গুলোতে যখন ক্লাস শুরু হয় তখন একটি জরিপ করা হয়। দেখা যায় ৭০৫জন শিশু ভুল বন্ধ করে দিয়েছে। অধিকার প্রজেক্ট কাজ করার ফলে ৬৬৭জন শিশুকে বিদ্যালয়ে ফেরানো যায়। করোনাকালীন দরিদ্র ৬৫৮টি পরিবারে প্রায় ৮লক্ষ টাকার খাদ্যসামগ্রী পাপড়ি সংস্থা হতে ইউপির সহায়তায় বিতরণ করা হয়। সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: নাজিম উদ্দিন বলেন- প্রজেক্টের সহায়তায় যেখানে বিদ্যালয়গুলোতে পরিচালনা কমিটির সভা স্থবির ছিল, সেখানে কমিটির সভার আয়োজন করে সভাগুলো নিয়মিত আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি বই আকারে কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য সকল সদস্যকে দেয়া হয়। স্টেকহোল্ডারদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোস্টার, লিফলেট ও অন্যান্য মেটেরিয়াল তৈরী করে এলাকায় পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করা হয়।বিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ ভাল রাখা ও ক্লাসরুম গুলো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রতিটি স্কুলের ক্লাসরুমগুলো কালারফুল করা হয়। নিয়মিত সমাবেশ, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা করতে শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। প্রজেক্টের আর্থিক সহায়তায় প্রতি বছর বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক স্পোর্টস ও কালচারাল প্রোগ্রাম, সাক্ষরতা দিংস উদযাপন ও বছরে একবার শিক্ষা ও সংস্কৃতি মেলায় আয়োজন করা হয়। উপজেলা পর্যায় থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার, ডোনার প্রতিনিধি, পাপড়ির কর্মকর্তাসহ এলাকার সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয় যা শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি ও অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। অধিকার প্রজেক্টের সহযোগিতা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার ভলান্টিয়ারগণ নানাভাবে শিক্ষার গতি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসে।প্রজেক্টের সভা, অগ্রগতি ও ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে পত্রিকায় প্রকাশে সাংবাদিকগণও ভাল ভুমিকা রাখছে। এলাকায় গণজাগরণ সৃষ্টিতে প্রজেক্ট কর্তৃক সচেতনতা সভা, ভিডিও শো, এক্সপোজার ভিজিট, আইকনিক পারসনদের নিয়ে সভা, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে অগ্রগতি সভার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণও সহায়তার জন্য উৎসাহিত করা হয়। এই বছর লার্নিং স্পট হতে ২২৩ জন শিক্ষার্থীর (ক্লাস টু থেকে ফাইভ পর্যন্ত) মধ্যে ২১৯ জন (৯৮%) শিক্ষার্থী চূড়ান্ত মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে এবং পাস করে ২১১জন (৯৬%)।০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ১৪১৬ জন ছাত্রছাত্রী হতে ১২৮১জন (৯০%) চূড়ান্ত মূল্যায়ণে অংশগ্রহণ করে এবং পাস করে ১১০০জন (৮৬%)।শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণি হতে ৩৩৯জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ২৯০জন অংশগ্রহণ করে (৮৬%) এবং পাস করে ২৮৬জন (৯৮%)।বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিতি বৃদ্ধি, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়ানো, প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে উক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রজেক্ট ভাল ভূমিকা রাখে। এ প্রজেক্ট বিশ্বাস করে একটি কমিউনিটিতে যদি শিক্ষক, অভিভাবক, কমিটি ও এলাকার গণ্যমান্য শিক্ষিত ব্যক্তিগণ এগিয়ে আসে তাহলে শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিতে চর পিছিয়ে থাকবেনা। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অধিকার প্রকল্পের সোস্যাল মবিলাইজার মো: নজরুল ইসলাম। এসময় প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নূর উদ্দিন আহমেদ, রায়পুরা উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, রায়পুরা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মেহেদী হাসান রিপন, সহ সকল সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com