দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১। এছাড়া বাড়ছে করোনা সংক্রমণও। তাই দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২১ জানুয়ারি থেকে রাজধানী ঢাকার নয়টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) টিকা দেয়ার নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গতকাল মঙ্গলবার অধিদফতরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় টিকা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি। টিকা কার্যক্রম চলছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রাধান্য দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের নয়টি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ অর্থাৎ তৃতীয় এবং চতুর্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
কেন্দ্রগুলো হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতাল), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কিছু জায়গায় টিকা দেয়া হচ্ছে। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ (তৃতীয়, চতুর্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগির কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পরে ধাপে ধাপে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে ভ্যাকসিন বিতরণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রাপ্তির প্রমাণস্বরূপ ভ্যাকসিনের নাম এবং তারিখ উল্লেখপূর্বক কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ড সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রদান করা হবে। তৃতীয় এবং চতুর্থ ডোজ টিকার ক্ষেত্রে সুরক্ষা ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ থেকে টিকাকার্ড ডাউনলোড করে সাথে আনতে হবে; এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদফতরে পূর্ব নির্ধারিত উপায়ে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশনের রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।