কানাডার ২০১৯ ও ২০২১ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে ভারত। সম্প্রতি এমন অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কানাডা। গত বছরের শেষ দিকে এসে দেশ দুটির মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, এই তদন্তকেও তার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট। খবরে জানানো হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার গত বছর এই তদন্ত কমিশন তৈরি করে। তবে এটি তৈরি করা হয়েছিল কানাডার নির্বাচনে চীনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রমাণ করতে। এবারই প্রথম ভারতের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হলো। তদন্ত করা হবে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধেও।
এই তদন্তের মধ্য দিয়ে ভারত এবং কানাডার মধ্যেকার উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেলো। এরইমধ্যে প্রাথমিক কাজও শুরু করে দিয়েছে কমিশন। সরকারের থেকে এই অভিযোগ সম্পর্কিত একাধিক নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই সমস্ত নথি থেকে এই অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য-প্রমাণ মেলে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখেছেন কমিশনের কর্মকর্তারা। ওই দুই নির্বাচনের প্রচার থেকে ফলাফল পর্যন্ত সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই কয়েকটি তথ্য কমিশনকে ভাবাতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে সোমবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে তারা। কানাডার কিছু কর্মকর্তাকে জেরা করা হবে। তাদের সোমবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। মে মাসের তিন তারিখের মধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জানাবে কমিশন। এছাড়া বছর শেষ হওয়ার আগেই তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।
উল্লেখ্য, কানাডায় খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকা-কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। সরাসরি ভারতকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সংসদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন, তাদের কাছে ভারতের যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে। তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি। কানাডার ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় কুমার বর্মা একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, বিচার না করেই ভারতকে অপরাধী বলে ঘোষণা করে দিয়েছে কানাডা।