রাজধানীতে কয়েক পশলা বৃষ্টি ঝরায় দূষণের মাত্রা কিছুটা কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দূষণে শীর্ষে ছিল ঢাকা। গতকাল শুক্রবার দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় বাংলাদেশ। বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৭ ছিল। সবচেয়ে দূষিত শহর ভিয়েতনামের হ্যানয় আছে ২৫৭ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থানে। এরপর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সারায়েভো ২০৮ একিউআই স্কোর নিয়ে আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।