রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন

স্বর্ণযুগে মুসলমানদের অবদান

আলী ওসমান শেফায়েত
  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মুসলিম স্বর্ণযুগ : অষ্টম শতাব্দী থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার সময়কালকে বোঝায়। যা ৬২২ সালে মদিনায় প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী শক্তির উত্থানের সময় থেকে শুরু হয়। ১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের দ্বারা বাগদাদ অবরোধের সময়কে এর শেষ ধরা হয়। ১৪৯২ সালে ইবেরিয়ান উপদ্বীপের আন্দালুসে খ্রিষ্টান রিকনকোয়েস্টার ফলে গ্রানাডা আমিরাতের পতনকেও এর সমাপ্তিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়।
আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের (৭৮৬-৮০৯) সময় বাগদাদে বায়তুল হিকমাহর প্রতিষ্ঠার ফলে জ্ঞানচর্চার প্রভূত সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফাতেমীয় যুগে (৯০৯-১১৭১) মিসর সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং উত্তর আফ্রিকা, সিসিলি, ফিলিস্তিন, জর্দান, লেবানন, সিরিয়া, আফ্রিকার লোহিত সাগর উপকূল, তিহামা, হেজাজ ও ইয়েমেনের অন্তর্গত ছিল। এই যুগে মুসলিম বিশ্বের রাজধানী শহর বাগদাদ, কায়রো ও কর্ডোবা বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, বাণিজ্য ও শিক্ষার বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। আরবরা তাদের অধিকৃত অ লের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিল। হারিয়ে যেতে থাকা অনেক ধ্রুপদী রচনা আরবি ও ফারসিতে অনূদিত হয়। আরো পরে এগুলো তুর্কি, হিব্রু ও ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিক, রোমান, পারসিয়ান, ভারতীয়, চৈনিক, মিসরীয় ও ফিনিসীয় সভ্যতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান তারা গ্রহণ, পর্যালোচনা ও অগ্রগতিতে অবদান রাখে।
স্বর্ণযুগের উত্থান ও কারণ : কুরআন ও হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা আর জ্ঞানার্জনের যথাযথ গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে এবং জ্ঞানার্জনের উপর জোর দেয়া হয়েছে। তৎকালীন মুসলমানদের জ্ঞানার্জন, বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও শিক্ষালাভে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধ যথাযথ ভূমিকা পালন করেছিল।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা : তৎকালীন ইসলামী সাম্রাজ্য জ্ঞানী-পণ্ডিতদের যথাযথ পৃষ্ঠপোষক ছিল। সব খরচ রাষ্ট্র বহন করত। সে সময়ের ট্রান্সলেশন মুভমেন্ট বা তরজমা করার কাজে যে অর্থ ব্যয় হতো তার পরিমাণ আনুমানিক যুক্তরাজ্যের মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের দুই বছরের বার্ষিক রিসার্চ বাজেটের সমান। হুনাইন ইবনে ইসহাকের মতো বড় বড় জ্ঞানী ও তরজমাকারকদের বেতনের পরিমাণ ছিল আজকালকার পেশাগত অ্যাথলেটদের বেতনের মতো। আব্বাসীয় যুগে আল মনসুর ইরাকের বাগদাদ শহরে ‘দ্য হাউজ অব উইজডম’ নামে একটি বৃহৎ পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত করেন।
পূর্ব সংস্কৃতির প্রভাব : মুসলিমরা জ্ঞানের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা গ্রিক, পারস্য, ভারতীয়, চীনা, মিসরের সভ্যতার প্রাচীন জ্ঞানের বইগুলো আরবি ও পরে তুর্কিতে অনুবাদ করেন। উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রিক দার্শনিকদের কাজগুলো এবং বিজ্ঞানের প্রাচীন জ্ঞানগুলোকে সিরীয় ভাষায় অনুবাদ করান যা পরে আরবিতে অনূদিত হয়। তারা জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন- দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে আগ্রহ দেখান। একটি লম্বা সময় ধরে আব্বাসীয় খলিফাদের চিকিৎসকরা ছিলেন আসারিয়ান খ্রিষ্টান। এদের মধ্যে বেশির ভাগ খ্যাতনামা খ্রিষ্টান চিকিৎসক ছিলেন বুখতিশু বংশের।
চতুর্থ থেকে সপ্তম শতাব্দীজুড়ে গ্রিক ও সিরিয়ান ভাষায় খ্রিষ্টান পণ্ডিতের কাজটি নতুনভাবে অনুবাদ হয়েছিল বা হেলেনীয় কাল থেকেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তখন জ্ঞান চর্চাও ও প্রেরণের শীর্ষস্থানীয় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে খ্রিষ্টান স্কুলগুলো ছিল যেমন নিসিবিসের স্কুল, এডেসার স্কুল, পৌত্তলিক হারান বিশ্ববিদ্যালয় ও খ্যাতিমান হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল জুন্ডিশাপুর অ্যাকাডেমি, যা প্রাচ্যের চার্চের বৌদ্ধিক, ধর্মতাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র ছিল।
নব্য প্রযুক্তি : স্বর্ণযুগে কাগজের নতুনভাবে ব্যবহার বই রচনা ও জ্ঞান চর্চাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। অষ্টম শতাব্দীতে চীন থেকে মুসলিম অ লে কাগজের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছিল, দশম শতাব্দীতে ইবেরিয়ান উপদ্বীপের আল-আন্দালুস (আধুনিক স্পেন এবং পর্তুগাল) পৌঁছেছিল।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মুসলিম ব্যক্তিবর্গ
শিক্ষাক্ষেত্র : ইসলামিক ঐতিহ্য ও আচারানুষ্ঠান ছিল ধর্মশাস্ত্র ও ধর্মীয় গ্রন্থকেন্দ্রিক। কুরআন-হাদিস ও অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাপক প্রসারতার কারণে মূলত তখন শিক্ষা ছিল ধর্মের প্রধান বুনিয়াদ এবং তা ইসলামের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। ইসলাম ধর্মে শিক্ষালাভ ও জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব বুঝাতে অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তির বচন উল্লেখ রয়েছে। এগুলো মধ্যে একটি হলো- ‘জ্ঞানার্জনের জন্য সুদূর চীন দেশ হলেও যাও’। এই সংশ্লিষ্ট হাদিস এবং এ জাতীয় বিভিন্ন বিধিধারা বিশেষভাবে মুসলিম প-িতরা এবং বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের মধ্যে প্রয়োগ ও প্রসার করতে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, শিক্ষা নিয়ে আল-জারনুজির একটি উক্তি ছিল- বিদ্যার্জন করা আমাদের প্রত্যেকের জন্য যথাবিহিত ও বাধ্যতামূলক। প্রাক-আধুনিক কালের ইসলামী সাম্রাজ্যের শিক্ষার হার নির্ণয় করা অসম্ভব হলেও এটি নিশ্চিত করে বলা যায় যে, তারা শিক্ষাক্ষেত্রে ও জ্ঞানার্জনে তুলনামূলকভাবে অনেক উচ্চস্তরে ছিল। বিশেষ করে তাদের সাথে তৎকালীন ইউরোপীয় প-িতদের তুলনা করলে ইসলামিক প-িতদের জ্ঞানের সব ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা যায়।
সবাই ছোট বয়স থেকে শিক্ষার্জন করা শুরু করত আরবি ও কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি; হয়তো বাড়িতে না হয় কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যেটি কোনো মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকত। তারপর অনেক শিক্ষার্থী তাফসির (ইসলামিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ) এবং ফিকহ (ইসলামিক মাসায়ালা) বিষয়ে অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করত। এসব শিক্ষাকেও যথাযথ গুরুত্বের সাথে দেখা হতো। শিক্ষাব্যবস্থা ছিল মুখস্থ করা কেন্দ্রিক। কিন্তু এ ছাড়াও অগ্রগতিশীল মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাঠ্যগ্রন্থগুলোর প্রণেতা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পাঠক ও লেখক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। এই প্রক্রিয়া সব উচ্চাকাক্সক্ষী শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় জড়িত রাখত। ফলে ওলামাদের তালিকায় তাদের সব ধরনের সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল। ১১ শ’ শতাব্দীর আগে এই শিক্ষাব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিকরূপ লাভ করেনি। ১২ শ’ শতাব্দীর দিকে শাসকদের দ্বারা মাদরাসা নামক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। যেখানে ইসলাম সম্পর্কে উচ্চতর শিক্ষার আলো ছড়ানো হতো। যখন মাদরাসার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুধু পুরুষদের জন্য উন্মুক্ত ছিল তখন নারীরা তাদের পরিবারে ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে দ্বীনের জ্ঞানার্জন করতে থাকে। পরে তাদের হাদিস অধ্যয়ন, ক্যালিগ্রাফি আঁকা ও কবিতা আবৃত্তির শরিয়াহসম্মত অনুমতি দেয়া হয়।
অধিবিদ্যা : ইবনে সিনা তার ভাসমান মানব পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন, মুক্তভাবে পতনকালেও মানুষ আত্মসচেতন থাকে।
জ্ঞানতত্ত্ব : জ্ঞানতত্ত্বে, ইবনে তোফায়েল ‘হায় ইবন ইয়্যাকদান’ নামে উপন্যাস রচনা করেন এবং তার উত্তরে ইবনে আন নাফিস লিখেন Theologus Autodidactus.
গণিতশাস্ত্র : গণিতশাস্ত্রের প্রচলন, অগ্রগতি ও উৎকর্ষতায় মুসলমানদের অবদান অনস্বীকার্য। যারা গণিতশাস্ত্রকে উন্নতির আসনে বসিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আল বেরুনী, আল-খারেজমি, আল-কারখি, ওমর খৈয়াম, আবুল ওয়াদা প্রমুখ।
বীজগণিত : বীজগণিত, এলগরিদম এবং হিন্দু-আরবীয় সংখ্যার বিকাশ ও উন্নয়নে মুহাম্মাদ ইবনে মুসা আল-খাওয়ারিজমি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তাকে বীজগণিতের জনক বলা হয়।
জ্যামিতি : ইসলামী শিল্পকলায় জ্যামিতিক প্যাটার্ন ও প্রতিসাম্যতা দেখা যায় বিশেষ করে দেয়ালের টাইলসে। সেগুলোতে রয়েছে দশভুজ, ষড়ভুজ, রম্বস ও প ভুজের নানা রকম সমাবেশ। ২০০৭ সালে পদার্থবিদ পিটার লু এবং পল স্টিনহাট প্রমাণ করেন, ১৫ শতাব্দীর গ্রিলথ টাইলসগুলো ছিল পেনরোজ বা গোলাপ কলম রকমের ডিজাইনকৃত।
ত্রিকোণমিতি : ইবনে মুয়াজ আল-জাইয়ানি হলেন অন্যতম ইসলামিক একজন গণিতবিদ যিনি সাইনের সূত্র আবিষ্কারের জন্য খ্যাত। ১১ শতকে তিনি The Book of Unknown Arcs of a Sphere নামে একটি বই রচনা করেন। শুধু সমকোণী ত্রিভুজ ছাড়াও সাইনের এই সূত্রটি যেকোনো ত্রিভুজের বাহুদ্বয়ের দৈর্ঘ্যরে সাথে কোণদ্বয়ের সাইনের মানের সম্পর্ক গঠন করেছে।
প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি : হাসান ইবনে আল-হাইসাম হলেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ইতিহাসে পরীক্ষানির্ভর পদ্ধতির কারণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
জ্যোতির্বিজ্ঞান : আনুমানিক ৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে পারস্য জ্যোতির্বিদ আব্দুর রহমান আল সুফি তার রচিত ‘Book of Fixed Stars’ গ্রন্থে এন্ড্রোমিডা কনস্টিলেশনের মধ্যে নীহারিকাবেষ্টিত স্থানের বর্ণনা করেন। তিনিই সর্বপ্রথম ওই স্থানের যথাযথ তথ্য দেন এবং উদ্ধৃতি দেন যেটি এখন এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি নামে পরিচিত। যেটি আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সবচেয়ে নিকটতম সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। টলেমির সমস্যাযুক্ত ইকুয়্যান্ট সংশোধিত করতে নাসির আল দিন তুসি ‘তুসি কাপল’ নামে এক ধরনের জ্যামিতিক পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। এই পদ্ধতি দ্বারা দু’টি বৃত্তাকার গতির সারাংশ থেকে রৈখিক গতি সৃষ্টির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। এই তুসি কাপল পদ্ধতিটি পরবর্তীতে ইবনে আল-শাতিরের ভূ-কেন্দ্রিক মডেল এবং নিকোলাস কোপার্নিকাসের সূর্য-কেন্দ্রিক মডেলের উদ্ভাবন ও বিকাশে প্রয়োগিত হয়। যদিও এর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কে ছিলেন বা কোপার্নিকাস নিজেই এই পদ্ধতি পুনরায় আবিষ্কার করেছিলেন কিনা তা জানা যায় না।
পদার্থবিজ্ঞান : আল বিরুনি তার আলোক-বিষয়ক গ্রন্থে উল্লেখ করেন, আলোর গতি শব্দের তুলনায় অসীম হতে পারে।
রসায়নশাস্ত্র : বিজ্ঞানের সর্ববৃহৎ ও প্রধান শাখার নাম রসায়ন। রসায়নশাস্ত্রের জনক বলা হয় জাবির ইবনে হাইয়ানকে। রসায়নশাস্ত্রে বিভিন্ন মুসলিম মনীষী অবদান রাখেন। তাদের মধ্যে জাবির ইবনে হাইয়ান, খালিদ বিন-ইয়াজিদ, জাকারিয়া আল রাজি, আল-জিলদাকি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
ভূ-গণিত : আবু রায়হান আল বিরুনি (৯৭৩-১০৪৮) প্রথম পৃথিবীর ব্যসার্ধ ৬৩৩৯.৬ কিলোমিটার (বর্তমান মান প্রায়. ৬৩৭১ কিলোমিটার ) নির্ণয় করেন।
জীববিজ্ঞান : রক্তসংবহনতন্ত্র সম্পর্কিত ইবনে আন নাফিস তার ‘Commentary on Anatomy in Avicenna’s Canon’ বইতে গ্যালেন স্কুলের রক্তপ্রবাহে, হৃৎপি-ের নিলয়গুলোর ভূমিকা-সংক্রান্ত ভুলগুলো তুলে ধরেন।
সংখ্যাবাচক চিহ্ন : মুসলিম গণিতবিদ আল খারেজমি সর্বপ্রথম সংখ্যাবাচক চিহ্নের ব্যবহার বিষয়ে ধারণা দেন। গণিতশাস্ত্রের উপর তার বিখ্যাত গ্রন্থ হলো ’কিতাবুল হিন্দ’। এখানে তিনি গণিতের বিভিন্ন জটিল বিষয়ের সমাধান দেখিয়েছেন।
দূরত্ব নির্ণয় : বিজ্ঞান ও গণিত জগতের এক অনন্য নাম ইবনুল হাইশাম। তিনিই প্রথম জ্যামিতিক গণনার সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনো দু’টি স্থানের মধ্যে দূরত্ব নির্ণয় করেন।
সমুদ্র, সূর্য ও নক্ষত্র : মুসলিম বিজ্ঞানী আল-ফারাবি সর্বপ্রথম সমুদ্র, সূর্য ও নক্ষত্রসমূহের উচ্চতা নির্ণয় করার আস্তারলব নির্মাণ করেন। (চলবে) লেখক : শিক্ষক ও গবেষক, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com