হামাসের ৭ অক্টোবর অভিযানের প্রতি ইসরাইলের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় গাজায় কমপক্ষে ৫০ হাজার ৬৬৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিভাগই বেসামরিক নাগরিক। এদিকে জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, গাজায় হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ জন শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে শনিবার ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র। এদিকে ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা ভূখ-ের দক্ষিণে একটি তথাকথিত ’নিরাপত্তা করিডোরে’ সেনা মোতায়েন করেছে।
হাসপাতাল সূত্র কাতরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন এবং উত্তরে বেইত হানুনে অভিযানে আরো ছয়জন নিহত হয়েছেন।
মার্চের মাঝামাঝি সময়ে হামাসের সাথে যুদ্ধে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে বিধ্বস্ত অঞ্চলে পুনরায় বোমাবর্ষণ শুরু করার পর থেকে ইসরাইল গাজার আরো অঞ্চল দখলের চেষ্টা করছে।
ইসরাইল তখন থেকেই তাদের আক্রমণ তীব্রতর করেছে এবং বলেছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আক্রমণ অব্যাহত থাকবে। গত শনিবার ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজাজুড়ে নতুন প্রতিষ্ঠিত একটি নিরাপত্তা করিডোরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নতুন ’মোরাগ করিডোর’ স্থাপনের কথা ঘোষণা করে বলেছিলেন, এটি দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। রাফা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইল।
গাজায় ১৮ মার্চ ইসরাইলের বিমান হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার মাধ্যমে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। যুদ্ধবিরতির মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী হামাস ৩৩ জন পণবন্দী ও আটজনের লাশ হস্তান্তর করে। হামাসের ৭ অক্টোবর অভিযানের প্রতি ইসরাইলের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় গাজায় কমপক্ষে ৫০ হাজার ৬৬৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিভাগই বেসামরিক নাগরিক। এদিকে জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, গাজায় হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ জন শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে। সূত্র : আল জাজিরা