সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ধনকুবের সহযোগী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই এবং প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভে নামেন মার্কিনীরা।
গতকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত শনিবার (৫ এপ্রিল) দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে প্রায় এক হাজার ২০০ বিক্ষোভ–সমাবেশ আয়োজন করার কথা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
মেঘলা আকাশ এবং হালকা বৃষ্টির মধ্যে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। ন্যাশনাল মল এলাকায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ একত্র হবেন বলে আশা করছিলেন বিক্ষোভের আয়োজকেরা।
ইভেন্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, প্রায় ১৫০টি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ এতে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছে। প্রায় ৫০টি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নিউ জার্সির প্রিন্সটনের অবসরপ্রাপ্ত বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞানী টেরি ক্লেইন ওয়াশিংটন মনুমেন্টের নিচে মঞ্চে জড়ো হয়েছিলেন। তিনি জানান, অভিবাসন থেকে শুরু করে ডিওজিই কর্মী ছাটাই, এ সপ্তাহে শুল্ক আরোপ, শিক্ষা সবকিছুতে ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদ জানাতে তিনি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমি বলতে চাইছি, আমাদের পুরো দেশ অস্থিরতার মধ্যে আছে।”
ট্রাম্পবিরোধী এই বিক্ষোভের নাম দেয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’। এর একটি অর্থ হতে পারে,‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও’। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একটি অ্যাক্টিভিষ্ট গ্রুপের একটি ‘ইনডিভিজিবল’। গোষ্ঠীটির সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, বিশাল এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে তারা ট্রাম্প, ইলন মাস্ক, রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ও তাদের মিত্রদের পরিষ্কার বার্তা দিতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপ সমালোচিত হয়েছে। ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের দিন থেকেই একরাশ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধ অভিবাসন, বিদেশি সহায়তা, ট্রান্সজেন্ডার অধিকারসংক্রান্ত আদেশগুলো। ট্রাম্পের কোনো কোনো আদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মামলা হয়েছে। কোনো কোনো আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত।
ট্রাম্পের গঠন করা সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প নতুন এই বিভাগের দায়িত্ব দেন ধনকুবের ইলন মাস্ককে। এরপর থেকে মাস্কের দল কেন্দ্রীয় সরকারের ২৩ লাখ কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখের বেশি পদ শূন্য করেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আগেই শনিবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, প্যারিস ও লন্ডনে একত্র হন বিক্ষোভকারীরা। তাদের হাতে ধরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আইনের শাসন’, ‘অত্যাচারী শাসককে প্রতিহত করুন’, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করুন’, ‘তোমার বাজে কথায় বিশ্ব ক্লান্ত ডোনাল্ড, চলে যাও’ স্লোগান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com