দেবীগঞ্জ উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেক কৃষক। গত শুক্রবার শিবের হাট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শেফালী বেগম বলেন, ‘দেবীগঞ্জ উপজেলার শিবার হাট এলাকায় ৪২ জন কৃষকের মাঝে প্রনোদনা হিসেবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ দেয়া হয়। কৃষকেরা চারা রোপণ করে প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে। প্রতি বছর পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় দেশে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিতিশীল দেখে দেয়। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য বর্তমান সরকার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ প্রণোদনা পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিবের হাট এলাকার দেবেন্দ্রনাথ যখন গ্রীষ্মকালীন সময় পেঁয়াজ বীজ তলা থেকে চারা রোপণ করে তখন এলাকার অনেই ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছে। এ সময় তারা বলেন, ‘এই পেঁয়াজ কোন দিনও হবে না। এই কথা শুনে ৪২ জন কৃষক তাদের কথা না শুনে পেঁয়াজ চারা রোপণ করেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে তারা পেঁয়াজ চাষ করেন এবং ফলন ও ভালো হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৩৬ মণ পেঁয়াজ ফলাতে সক্ষম হন। একটি পেঁয়াজের ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজন হয়।’ কৃষক দেবেন্দ্রনাথ বলেন, ‘আমি যখন এই শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ শুরু করি অনেক কৃষক আমাকে নিয়ে হাসা-হাসি করেছেন। আমি উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের পরামর্শে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষ করে ফলন ও ভালো হইছে দামও ভালো পাচ্ছি।’
দেবীগঞ্জ কৃষি অফিসার নাঈম মোর্শেদ বলেন, ‘পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় একটি সময় উপযোগী উদ্যোগ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকের মাঝে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ প্রণোদনা প্রদান করছেন। ২৩-২৪ অর্থ বছরে তিনটি ধাপে মোট ৫২০ গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। শিবের হাট বানিয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে কৃষকের মাঝে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য উদ্বুদ্ধ করি। কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন ও আর্থিক লাভবান হচ্ছে। বর্তমান দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৫২০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।’