জামালপুরে মানবাধিকার কর্মীদের সংগঠন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক(এইচআরডি) এর ত্রৈমাসিক সভায় জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহব্বত কবির বলেন জনগণের জানমাল ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশ প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করে। সবাই ঘুমিয়ে গেলেও পুলিশ জেগে থাকে। ঝড়, বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করে ট্রাফিকরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে। সমস্যা নিয়ে মানুষ পুলিশের কাছে আসে। কোন আনন্দের খবর কেউ পুলিশকে দিতে আসে না। পুলিশেরও মানবাধিকার আছে, তাদেরও প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় কিন্তু এ ব্যপারে কেউ খুজ রাখে না। তিনি মানবাধিকার কর্মীদের বিষয়টি ভাবার জন্য আহ্বান রাখেন। পুলিশ এবং মানবাধিকার কর্মী একে অপরের পরিপুরক। তথ্য বিনিময় এবং পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন জামালপুরের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। সোমবার জামালপুরে ইউএস-ডিটিআরসিতে উন্নয়ন সংঘ ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক, জামালপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সেলিম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল এবং সঞ্চালনা করেন নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব আরজু আহমেদ। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা আব্দুছ সালাম, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী টিপু সুলতান, ডকুমেন্ট কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা, জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর নাসরিন সুলতানা, এইচআরডি আশরাফুল ইসলাম, মনোয়ারা পারভীন, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সভায় গত তিনমাসে জামালপুর মানবাধিকার রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম ও অর্জনগুলো উপস্থাপন করা হয়।জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা আব্দুছ সালাম বলেন, জামালপুরে এইচআরডি নেটওয়ার্কের কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। সদস্যরা যেকোন ঘটনায় দ্রুত সাড়া দিয়ে দিয়ে থাকেন। এর ফলে জামালপুরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দিন দিন কমে আসছে। এমএসএফ এর সমন্বয়কারী টিপু সুলতান প্রকল্পের লক্ষ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে গণজাগরণ তৈরি করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বির্নিমানে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডাররা স্বপ্রনোদিত হয়ে কাজ করছে। জামালপুরের কার্যক্রমে এমএসএফ খুবই খুশি। সভায় নেটওয়ার্কের সদস্যসহ ৪২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। জানা যায় জামালপুর এইচআরডি নেটওয়ার্কের উদ্যোগে মানবাধিকার সংস্কৃতি বিকাশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, মানবাধিকার ঘটনা চিহ্নিত করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন পরিস্থিতি নিয়মিত মনিটরিং করা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানো, মানসিক, চিকিৎসা, আইনগত সহায়তা প্রদানসহ ন্যায় বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা, মানববন্ধন, স্মারকলিপি, বিভিন্ন দিবস উদযাপনসহ দ্বন্দ্ব নিরসনে নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।