ঢাকাই সিনেমায় নকলের থাবা পুরোনো। দেশীয় চলচ্চিত্রের স্বপ্ন-সম্ভাবনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নকল সিনেমা নির্মাণ, নকল পোস্টার তৈরি করেই যাচ্ছেন নির্মাতারা। তামিল, তেলেগু, হিন্দি সিনেমা নকল করে সিনেমা নির্মাণ কিছুটা কমলেও পোস্টার নকল হরহামেশাই হচ্ছে। নকল সিনেমা কিংবা নকল পোস্টার তৈরি করে দর্শকদের ধোকা দিয়ে যাচ্ছেন নির্মাতা-প্রযোজক। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো ‘মোনা: জ্বীন-২’ সিনেমার পোস্টার।
২০২১ সালে ‘মোনা’ ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের ঘোষণা দেয় জাজ মাল্টিমিডিয়া। হরর গল্পের ওয়েব ফিল্মটি নির্মাণ করেন কামরুজ্জামান রোমান। পরে জাজ জানায়— ওটিটিতে নয়, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘মোনা’। সম্প্রতি সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। আগামী রোজার ঈদে সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তবে বদলে গেছে নাম। মোনা হয়ে গেছে ‘মোনা: জ্বীন-২’। গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাজ মাল্টিমিডিয়ার ফেসবুক পেজে এর অফিসিয়াল পোস্টার প্রকাশ করা হয়। মন্তব্যের ঘরে নকলের অভিযোগ করেছেন অনেকে। মুক্তিপ্রাপ্ত হরর ‘মুনকার’ সিনেমার পোস্টারের সঙ্গে সিনেমাটির মিল পাওয়া গেছে। জেসমিন নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার মুভির অনুকরণে পোস্টার। গল্পও হয়তবা তাই হবে।’ রিয়াদ নামে আরেকজন লেখেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার এমন একটা মুভি দেখা হয়েছিল যা মিডিয়া ব্যানারে মিল রয়েছে।’ শান নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার মুভির নকল এটি।’ সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে মোনার চিত্রনাট্য। জামালপুরে এক বাড়িতে জ্বীনের উৎপাত শুরু হয়। ফলে বাড়ির মালিক বাড়িটি মাদ্রাসাকে ভাড়া দেন। কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক জ্বীনের উৎপাতে সেই বাড়ি ছেড়ে দেয়। জ্বীন কেন উৎপাত করছে? সে কী চায়? সে কি কারো ক্ষতি করছে? এসব প্রশ্ন সামনে রেখে এগিয়েছে সিনেমাটির গল্প।
সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুপ্রভাত। তা ছাড়াও রয়েছেন তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, দীপা খন্দকার, সামিনা বাশার, আরিয়ানা, সাজ্জাদ হোসেন, শেহজাদ ওমর, রেবেকা, মাহমুদুল হাসান মিঠু, শামীম প্রমুখ।