বিএনপি’র আটক ৬০ লাখ নেতাকর্মীর হিসাব চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ছিল ২০ হাজার। এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কি করে? আমি মির্জা ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি- আপনাদের ৬০ লাখ নেতাকর্মী বন্দী রয়েছেন বলছেন, অবিলম্বে তাদের তালিকা প্রকাশ করুন। তা না হলে মিথ্যাচারের জন্য অবিলম্বে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানম-িস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পহেলা বৈশাখকে যারা অস্বীকার করে তারা প্রকারন্তরে বাঙালি সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের জন্মের ইতিহাসকে অস্বীকার করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৭ই এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা (বিএনপি) অস্বীকার করে। ১০ই এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ই জুন অস্বীকার করে। মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির কোনো ভূমিকা ছিল না। তাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা এসব নিয়ে তারা ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমরা মনে করি না।
মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম হয়েছে। রক্ষা করার জন্য নয়। বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের জনগণ বিএনপি’র আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি। ভবিষ্যতেও তারা আন্দোলন করতে পারবে না। আন্দোলনের শক্তি-সামর্থ্য তারা সবই হারিয়ে ফেলেছে।
সেতু মন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের রক্তাক্ত সংগ্রাম, আন্দোলন, এসবের তাহলে কোনো প্রয়োজন নেই। পলাশী যুদ্ধ থেকে বাঙালির যেই অবিরাম লড়াই, কৃষক বিদ্রোহ, সিপাহি বিদ্রোহ, প্রীতিলতা, সূর্যসেন সব সংগ্রামই কি মিথ্যা! বিএনপি এসব স্বীকার করে না। তারা মনে করে, নয় মাসের যেই যুদ্ধ সেটাই স্বাধীনতা সংগ্রাম। যদিও এই যুদ্ধে তাদের প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা ছিল না। বিএনপি দল তখন ছিল না, কিন্তু সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান তিনি কোন সেক্টরে বাস্তবে যুদ্ধ করেছেন তা আমাদের জানা নেই। দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব বিএনপির অপপ্রচার। তারা ও তাদের আন্তর্জাতিক মিত্ররা তাদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করে বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় বসলেও দুর্ভিক্ষে পতন হবে। কিন্তু তাতো হয়নি।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে সেতুমন্ত্রী বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানে চালু থাকা সরকারের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, যতদিন জনগণের প্রয়োজন থাকবে। ততদিন জনস্বার্থে এই প্রোগ্রাম থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।