তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে এসি কিনছেন অনেকেই। যাদের বাজেট আরেকটু কম তারা প্রচ- গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই ভরসা রাখছেন এয়ার কুলারে। এয়ার কন্ডিশনারের চেয়ে কম খরচ হওয়ায় এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশিয় অনেক সংস্থার এয়ার কুলার আছে বাজারে। তবে এয়ার কুলার কেনার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতেই হবে। জেনে নিন সেসব-
আকার:কোন আকারের এয়ার কুলার কিনবেন তা নির্ভর করবে আপনার ঘরের আয়তনের উপর। মাঝারি বা ছোট মাপের হলে সেই অনুযায়ী কুলার পছন্দ করুন। বড় মাপের ঘরের জন্য ডেসার্ট কুলার পারফেক্ট। ঘরের মাপ যদি ১৫০ স্কয়ার ফিট থেকে ৩০০ স্কয়ার ফিটের মধ্যে হয় তাহলে পার্সোনাল কুলার কিনুন। আর ঘরের মাপ যদি ৩০০ স্কয়ার ফিটের থেকে বড় হয় তাহলে ডেসার্ট কুলার কিনলে আরাম পাবেন।
ওয়াটার ট্যাঙ্কের ক্ষমতা: এয়ার কুলারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এই ওয়াটার ট্যাঙ্ক। এখানে অংকের হিসাব খুব সোজা। কুলারের মাপ যদি বড় হয়, তাহলে কুলারের মধ্যে ওয়াটার ট্যাঙ্কের ক্ষমতাও বেশি হবে। তাই সবসময় রুমের মাপ দেখে এয়ার কুলার কিনলে উপকার পাবেন সঠিক। ছোট ঘরের জন্য ১৫ লিটার আর মাঝারি মাপের ঘরের জন্য ২৫ লিটার এয়ার কুলার পছন্দ করুন।
জলবায়ু অনুযায়ী কুলার কিনুন: পরিবেশ যদি রুক্ষ হয় তাহলে ডেজার্ট কুলার কেনাই ভালো। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেশি হলে সেক্ষেত্রে পার্সোনাল বা টাওয়ার কুলার অনেক কার্যকরী।
কুলারের শব্দ হয় কি না দেখে নিন: কিছু কিছু কুলারে বেশ আওয়াজ বের হয়। তাই কুলার কেনার সময় অবশ্যেই দেখে নিন। কুলারের ফ্যানের স্পিড বেশি হলে ঘরঘর করে কোনো শব্দ হচ্ছে কি না দেখে নিন।
অটো ফিল ফাংশন: কুলার রিফিল করা একটি জটিল কাজ। এই কারণে অটো ফিল ফাংশন রয়েছে কি না দেখে নেওয়া খুবই দরকার। কুলার পরিচালনা ও পরিষ্কার রাখার প্রক্রিয়া সহজ হলে ভালোকুলিং হয়। এছাড়াও অটো ফিল ফিচার ট্যাঙ্কটিকে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া থেকে রোধ করবে। ফলে মোটরটিও ক্ষতি হয় না।
কুলিং প্যাডের গুণমান কেমন দেখে নিন: কুলিং প্যাডগুলো কুলারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কুলারের জন্য বিভিন্ন ধরনের কুলিং প্যাড পাওয়া যায়। সাধারণত উল কাঠ, অ্যাস্পেন প্যাডস, হানিকম্ব প্যাডস। হানিকম্ব প্যাডগুলো দীর্ঘক্ষণ ধরে ঠান্ডা থাকে এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কম সময় খরচ হয়। তাই অন্য দুটির তুলনায় এই কুলিং প্যাড অনেক ভালো।
অতিরিক্ত আইস চেম্বার যোগ রয়েছে কী? দ্রুত ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছু কুলার নির্মাতারা কুলারগুলোতে একটি আলাদা আইস চেম্বার যোগ করে। ট্যাঙ্কের পানি ঠান্ডা করার জন্য আপনি আইস কিউব যোগ করতে পারেন।
এয়ার কুলার কোথায় রাখবেন: ঘরের মাপ অনুযায়ী যদি ডেসার্ট কুলার পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই ঘরের বাইরে অথবা ছাদে রাখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পার্সোনাল বা টাওয়ার কুলার ঘরের ভেতর রাখা সম্ভব।
বিদ্যুতের খরচ: বিদ্যুতের খরচ কেমন হচ্ছে তা দেখে নিতে ভুলবেন না যেন। সাধারণত আধুনিক কুলারগুলোতে ইনভারটার টেকনোলজি যুক্ত করা থাকে। তাই বিদ্যুৎ চলে গেলেও কুলার মেশিন যেমন চলছিল ঠিক তেমনিই চলবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া