জোর যার মুল্লুক তার আর সেই সূত্র ধরেই বালু ব্যাবসায়ী মোঃ মাহমুদ কবিরের নির্দেশে বেআইনী ভাবে স্থাপনা কাজে ভাংচুর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায় বলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন আহম্মেদ ও সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বালু ব্যাবসায়ী মোঃ মাহমুদ কবির একত্রে ইন্দেরহাট বন্দরের সন্ধ্যা বানী সিনেমা হলের সম্পত্তি ক্রয় করেন বেশ কয়েক বছর ধরে।
জমি কেনার সময়ে দুই ব্যাবসায়ী মোটা অংকের বিনিময়ে সিনেমা হলের সম্পত্তি ক্রয় করে হৈচৈ ফেলে দেয় সমগ্র উপজেলার মধ্যে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়,কাগজপত্র অনুযায়ী শাহীন আহম্মেদ চেয়ারম্যান সম্পত্তির উত্তর সাইড এবং মাহমুদ কবির দক্ষিণ সাইড নেওয়ার কথা উল্লেখ্য রয়েছে। পূর্বের মালিক পক্ষ এবং ইন্দেরহাট বন্দরের বাজার কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দও বিষয়টি নিয়ে অবগত। অথচ জায়গার মূল্য অতি মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় বালু ব্যাবসায়ী মাহমুদ কবিরের মন মানসিকতার পরিবর্তন আসে। আর সেই কারণে উভয়ের মধ্যে আচার আচরণের মধ্যে শীতল স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। নাম না প্রকাশের শর্তে ইন্দেরহাট বন্দরের বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, শাহীন চেয়ারম্যান মাহমুদ কবিরের সঙ্গে জায়গা রাখা ঠিক হয়নি। মাহমুদ কবির ঠান্ডা মাথায় চালাক প্রকৃতির মানুষ। ধর্মের লেবাসে অপরাধ করার প্রবনতা রয়েছে। হীন স্বার্থের জন্য অন্যের সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ার প্রবনতা রয়েছে। আর সেই কারণে গত সোমবার রাত আনুমানিক একটার দিকে আট-দশজনের সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন দিয়ে শাহীন আহম্মেদ চেয়ারম্যানের স্থাপনা কাজ ভাংচুর করে। এসময়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন সোহাগদল ইউনিয়নের মধ্যে ইন্দেরহাট বন্দরের নৈশ প্রহরীদের ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনা স্থলে এসে ভবনের প্রধান গেট ভেঙে প্রবেশ করে শাহীন আহম্মেদ চেয়ারম্যানের অংশে স্থাপনা কাজে ভাংচুর চালায়। এব্যাপারে বাজারের প্রধান নৈশ প্রহরী হাকিম জেলার ও স্থানীয় বহু গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, রাত্র দ্বিপ্রহরে মাহমুদ কবিরের লোকজন এসে আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিয়ে যায়। টুটা শব্দ করতে বারন করেন।আমরা ভয়ে চিৎকার দেইনি। অবশ্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রশিদ ভাইকে ফোন দেই। পাশাপাশি জায়গার একাংশের মালিক শাহীন আহম্মেদ চেয়ারম্যানকেও ফোন দেই। সকলের ফোন বন্ধ ছিল।
প্রশাসনের লোকজনকে অবগত করি। প্রায় একঘন্টা সময় ধরে ভাংচুর পরিচালনা করেন।রাতেই মধ্যেই সমগ্র বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। বাজারের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষ সমগ্র বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানান। পাশাপাশি স্বরূপকাঠি উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য স্বপ্নে বিভোর ছিল আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবির। আর সেই মাহমুদ কবির এজাতীয় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সাধারণ মানুষেরা ছিঃ ছিঃ দেয় আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবিরকে। গায়ের জোরে বেআইনী ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় অন্যের স্থাপনা কাজে ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে বালুব্যাবসায়ী মাহমুদ কবিরের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন।কিন্তু ফোন রিছিব করেননি। অবশ্য বলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন আহম্মেদ অভিযোগ আকারে গণ মাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ তুলে ধরলেন মাহমুদ কবিরের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে আমার সম্পত্তির অংশে স্থাপনা কাজে ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসী কায়দায়। স্থানীয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছি। এছাড়াও ইন্দেরহাট বন্দরের বাজার কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সমগ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনের ডিউটি অফিসার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত। আইনের সুশাসন নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।