গরমে চোখ ওঠা রোগ বৃদ্ধি পায়। যাকে কনজাংটিভাইটিসও বলা হয়। এ সময়ে এ রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। এমনকি চোখ ওঠা রোধে সচেতন থাকতে হবে। আসুন জেনে নিই চোখ ওঠা রোধে করণীয় সম্পর্কে-
চোখ ওঠা রোগের ঝুঁকি বাড়ার কারণ-
গরমের তাপমাত্রা: উষ্ণ আবহাওয়ায় লোকেরা বাইরে বেশি সময় কাটায়, যেখানে তারা সংক্রমণের সংস্পর্শে আসতে পারে।
সাঁতার কাটা: অস্বাস্থ্যকর পানিতে সাঁতার কাটা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে।
ধুলোবালি: শুষ্ক এবং বাতাসযুক্ত আবহাওয়ায় ধুলোবালি বাতাসে বহন করে, যা চোখের জ্বালাপোড়া এবং চোখ ওঠা রোগের কারণ হতে পারে।
ক্লোরিন: সাঁতারের পানিতে থাকা ক্লোরিন চোখের জ্বালাপোড়া এবং চোখ ওঠা রোগের কারণ হতে পারে।
লক্ষণসমূহ: চোখ ওঠা রোগের লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে- ১. চোখের লাল ভাব ২. চোখে চুলকানি ৩. চোখে জ্বালাপোড়া ৪. চোখ থেকে পানি পড়া ৫. চোখ থেকে ময়লা আসা ৬. আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি
৭. ঝাপসা দৃষ্টি।
করণীয়: চোখ ওঠা রোগের চিকিৎসা সংক্রমণের কারণের ওপর নির্ভর করে- ১. ভাইরাল সংক্রমণের জন্য সাধারণত বিশ্রাম, ঠান্ডা সেঁক এবং চোখের ড্রপ ব্যবহার করে লক্ষণগুলো উপশম করা হয়। ২. ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ বা মলম প্রয়োজন হতে পারে। ৩. অ্যালার্জির কারণে চোখ ওঠা রোগের জন্য অ্যালার্জির ওষুধ সাহায্য করতে পারে। পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. মো. আরমান হোসেন রনি.চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।