অবশেষে যেন স্বস্তি ফিরল পাকিস্তান ক্রিকেটে, বাবর আজমের কাঁধ থেকে সরল এক পাহাড় চাপ। লজ্জার হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার দল, দ্বিতীয় ম্যাচের পর মঙ্গলবার শেষ টি-টোয়েন্টিতেও তুলে নিয়েছে দাপুটে জয়। তাতে নিশ্চিত করছে সিরিজও। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই সফরকারীদের বড় ধাক্কা দেয় আইরিশরা। ৬ হারিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় বাবররা। সিরিজে ফেরে ১-১ সমতা। তাতে সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হয় অলিখিত ফাইনালে। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই দলকে জিতিয়েছেন বাবর। পাকিস্তান জয় পায় ৬ উইকেটে। গত মঙ্গলবার ডাবলিনে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। টসে জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠালে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান তুলে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ৩ ওভার এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান। ২-১ ব্যবধানে তাতে সিরিজিও জিতে নিয়েছে তারা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ১৬ রানে সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে এরপরই ব্যাট হাতে চড়াও হন বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনে মিলে ৭৪ বলে ১৩৯ রানের বিশাল জুটি গড়ে তুলেন। আর এই জুটিতেই নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য।
৩৮ বলে ৫৬ রান করে রিজওয়ান যখন আউট হলেন, তখন জয়ের জন্য ৩১ বলে মাত্র ২৪ রান প্রয়োজন পাকিস্তানের। পরের ওভারেই আউট হন বাবর। পাকিস্তান অধিনায়ক এদিন ৪২ বলে ৭৫ রানের ইনিংস উপহার দেন। তবে দলকে জিতিয়ে ফেরা হয়নি তার। শেষদিকে ইফতিখার আহমেদও (৫) দ্রুত আউট হয়েছেন। তবে তাতে জয় পাওয়া থেমে থাকেনি। আজম খানের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৩ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে রস অ্যাডাইরের (৭) উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তবে দলকেএই চাপ বুঝতে দেননি আইরিশ অধিনায়ক লরকান টাকার। অ্যান্ডি বালবির্নিকে সাথে নিয়ে ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন টাকার। ১১তম ওভারেই দল পৌঁছে যায় ১০০ রানে।
তবে ওই ওভারেই বালবির্নিকে হারায় স্বাগতিকেরা। ২৬ বলে ৩৫ করে আব্বাস আফ্রিদির শিকার হন তিনি। এরপর টেক্টরের সাথে মিলে পরের ১৭ বলে আরো ৩২ রান যোগ করেন টাকার। ১৪তম ওভারে তাকে ফেরান ইমাদ ওয়াসিম। ফেরার আগে টাকারের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৭৩ রান। টেক্টর ২০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে আনেন। নয়ে নামা গ্রাহাম হিউম ৬ বলে করেন ১০ রান। বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখান ম্যাচসেরা শাহিন আফ্রিদি। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ২ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।