ঝড়ে ল-ভ- প্রেইরি ভিও ক্রিকেট কমপ্লেক্স। এই মাঠেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তাই শঙ্কা ছিল শেষ পর্যন্ত ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে। তবে স্বস্তির খবর ঝড় কমে যাওয়ায় সিরিজটি হতে কোনো বাধা নেই। শুধু তাই নয় শনিবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলনটাও হবে কিনা তা নিয়েও ছিল নানা শঙ্কা। সেই শঙ্কার মাঝেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো আলাদা দুটি ভিডিওতে ক্রিকেটারদের জিম ও রানিং করতে দেখা গেছে। বিশ্বকাপের আগে ট্রেনার নাথান কেলির অধীনে নিজেদের ফিটনেস ঝালিয়ে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। আগামীকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। এই সিরিজ টাইগারদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ একটাই এই যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরেই বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলবে ৭ই জুন। এই সিরিজে যারা খেলবে মূলত তারই বাংলাদেশ বিশ্বকাপ দলের প্রতিনিধি। তাদেরই একজন মোস্তাফিজুর রহমান। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিব ক্রিকেটে যার যাত্রা শুরু ২০১৫তে। এরপর ৩ ফরম্যাটেই হয়ে উঠেছেন দলের অংশ। দেশই নয় খেলেছেন আইপিএলসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের বোলিং বিভাগের অন্যতম ভরসার নাম মোস্তাফিজ। এই টুর্নাামেন্টে খেলতে দেশ ছাড়ার আগে জানিয়েছেন ক্রিকেট জীবনে এখন পর্যন্ত তার আক্ষেপের কথা। বিসিবি’র এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভালো করার তো শেষ নাই। চেষ্টা করবো আগে যা করেছি সেটা থেকে আরও ভালো করার। আমার মনে হয় বড় প্লেয়াররা বড় ট্রফি জেতে। তাদের বড় প্লেয়ার বলা হয়। এই আক্ষেপ তো সবসময় রয়ে গেছে।’
সবশেষ আইপিএলে চেন্নাইয়ের বোলিংয়ের বড় অস্ত্র ছিলেন মোস্তাফিজ। অবশ্য দেশের হয়ে খেলতে মাঝ পথেই তাকে দেশে ফিরতে হয়েছে আইপিএল রেখে। অভিষেকের পর থেকে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কাটার মাস্টার। আর এখন তো তাকে সবাই ফিজ বলেই ডাকে। কেন হঠাৎ করেই তার নাম সংক্ষেপ হয়ে গেল? এ নিয়ে জানিয়েছেন মজার তথ্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বোর্ডটাতে যেখানে ফিল্ডিং সেশন, বোলিং সেশনের বিষয় লেখা থাকে। ওই বোর্ডে যদি পুরো নাম লেখে, তাহলে অনেক বড় হয়ে যায়। এ কারণে লেখে ফিজ। প্রথমদিন আমি বুঝিনি। ভেবেছি এটা কে। তারপর আমাকে বলেছে, এটা তুমি। এরপর থেকেই আমি আইপিএলে খেলতে গিয়েছিলাম ২০১৬ সালে। ওখানেও ফিজ নামটা জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এরপর থেকেই চলছে।’
জাতীয় দলের হয়ে ১৫ টেস্টে ৩১, ১০৪ ওয়ানডেতে ১৬৪ ও ৯৩ টি-টোয়েন্টিতে ১১০ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। এতে গৌরব আছে তার। কোন ফরম্যাটটা বেশি প্রিয়? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বলেছেন এই ফরম্যাটের কথাই। তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলাটা গৌরবের বিষয়। আমি সবসময় উপভোগ করি দেশের হয়ে খেলাটা। ভালো লাগার কথা বললে আমি টি-টোয়েন্টিটা খুব উপভোগ করি। এই ফরম্যাটটা বেশ চাপের। এ কারণেই মনে হয় ভালো লাগে আমার। চাপ নিয়ে খেলতে অনেক উপভোগ করি।’ একটা সময় ছিল ভীষণভাবে পেসার সংকটে ভুগেছে বাংলাদেশ দল। এখন তাসকিন, শরিফুল, তানজিদ, হাসান মাহমুদের মতো পেসারের দারুণ প্রভাব দলে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি পেসারদের নিয়ে মোস্তাফিজের উচ্ছ্বাসটা ভিন্ন মাত্রায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে তাসকিন, শরীফুল, সাইফউদ্দিন (তিনি বিশ্বকাপ দলে নেই), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেটা ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবো। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ সিনিয়রদের থেকেও শিখছেন বলে জানিয়েছেন মোস্তাফিজ, ‘সাকিব ভাই আছে, রিয়াদ ভাই আছে। আমরা যদি কখনো আটকে যাই, মাঠে হতে পারে বা কোনো কিছু জানার থাকলে ভাইদের কাছ থেকে সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারবো।’