ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম বাণিকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা মূল্যের ২টি মেহগুন গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম মিলন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রবেশ দরজা নির্মানের অজুহাত দেখিয়ে গাছ বিক্রয় করেছেন তিনি। অথচ কয়েক বছর আগেও প্রাচীর নির্মানের কথা বলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে লাগানো প্রায় ৯৫ বছর বয়সী বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মোটা অংকের টাকায় বিক্রয় করেছিলেন এই প্রধান শিক্ষক মিলন । যদিও বিদ্যালয়ের সেই প্রাচীরের চার অংশের মধ্যে মাত্র এক অংশ নির্মান করেছেন তিনি।আজও প্রাচীন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি ।সরকারি বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়ের কোন গাছ বিক্রয় করতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা, নিলামে সেই গাছের মূল্য নির্ধারণ করে সর্বোচ্চ মূল্যদাতার নিকট বিক্রয় ও বিক্রয়কৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বারে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও এসব নিয়মনীতিকে বার বার বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মিলন। সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, গত শুক্রবার (৩১ মে) বিদ্যালয় বন্ধের দিন সুযোগ বুঝে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ২টি মেহগুনি গাছ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকায় বিক্রয় করে দিয়েছেন। মেহগুনি গাছ দুটির সাইজ করে কাটা লক পড়ে আছে বিদ্যালয়টির পূর্ব দিকের একমাত্র প্রাচীরের পাশে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাবা জানান, যেখানে বিদ্যালয়ের প্রাচীর নেই, সেখানে গেট কি হবে? কয়েক বছর আগে মিলন স্যার প্রাচীর নির্মান করবে বলে অনেক গাছ কেটেছে, অথচ এখনো সে প্রাচীরই হলো না। এ ব্যাপারে রায়গ্রাম বাণিকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম মিলন জানান, হ্যাঁ গাছ কাটা হয়েছে, আপনি রায় গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়টি পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলী হোসেন অপুর সাথে কথা বলেন, গাছ বিক্রির ব্যাপারে উনিই ভালো বলতে পারবেন। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, গাছ বিক্রয়ের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা,প্রতিষ্ঠান প্রধান এ ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানায়নি। আপনি বললেন আমি খোজ নিবো।