এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। একের পর এক অব্যবস্থাপনায় বিতর্কিত হতে হচ্ছে আয়োজকরা। আইসিসিও আছে বেশ চাপে। আসর শুরু হয়ে গেছে আজ তিনদিন, তবুও যেন কমছেনা তার রেশ। একের পর এক অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার আগে নিউইয়র্কের হিকসভিল অঞ্চলের ক্যান্টিয়াগ পার্কে অনুশীলন করছে ভারত। যেখানে প্রথম দিনের অনুশীলনে ক্রিকেটার ও স্টাফদের জন্যে পর্যাপ্ত খাবার ছিল না বলে দাবি জানায় তারা। এবার তাদের অভিযোগ পার্কে অনুশীলন করা নিয়ে। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে দলগুলোর জন্য সাধারণত অনুশীলনের আলাদা মাঠ বা ইনডোর অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচের আগে ভারতীয় দলকে অনুশীলন করতে হচ্ছে পাবলিক পার্কে!
যা বেশ অদ্ভুত লাগছে রাহুল দ্রাবিড়ের। ভারতের প্রধান কোচ এ নিয়ে বলেন, ‘নিশ্চিত করেই বিশ্বকাপে আপনার বড় স্টেডিয়াম অথবা প্রচলিতভাবে ক্রিকেট স্টেডিয়াম থাকতে হবে। কিন্তু আমরা একটি পাবলিক পার্কে অনুশীলন করছি। একটা পার্কে অনুশীলন করাটা কিছুটা হলেও অদ্ভুত।’ শুধু অনুশীলন মাঠই নয়, আরো নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ আয়োজন। হারের পর ম্যাচের ভেন্যু ও আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। কেননা শ্রীলঙ্কার গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচ রাখা হয়েছে চারটি আলাদা ভেন্যুতে।
তবুও যুক্তরাষ্ট্রে শ্রীলঙ্কা দলের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে মাঠ থেকে বেশ দূরে। নাসাও কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে লঙ্কানদের হোটেলের পথ দেড়-দুই ঘণ্টা দূরে। সকালে ম্যাচ হওয়ায় সেই হোটেল থেকে মাঠে যেতে ও মাঠ থেকে হোটেলে ফিরতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয় তাদের।
শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরেও হেনস্থার শিকার হয়েছে তারা। ম্যাচের আগে মায়ামি থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে মায়ামি বিমানবন্দরে ভোগান্তির শিকার হয় লঙ্কানরা। ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল দলকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের পর এই নিয়ে মুখ খুলেন লঙ্কান স্পিনার থিকশানা। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা অন্যায্য হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচের পরই আমাদের দৌড়াতে হবে। কারণ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা পড়েছে আমাদের। এটা অন্যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে আট ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হলো। রাত ৮টার ফ্লাইট পেলাম ভোর ৫টায়। এটা অন্যায্য, তবে খেলায় এর প্রভাব পড়েনি।’