নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ করে জোরপূর্বকভাবে সম্পত্তি দখল এবং গুম খুন ও হত্যার হুমকি সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ছোট ভাই আলা উদ্দিন ও মা ফাতেমা বেগম। বুধবার বিকেল ৩ টায় কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আলা উদ্দিন বলেন, আমরা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বলিগো বাড়ির বাসিন্দা। আমি খরিদ ও ওয়ারিশসূত্রে ২৭ শতাংশ সম্পত্তির মালিক। আমার মালিকানার ঘর ভিটার ৩ শতাংশ সম্পত্তি ছাড়া বাকি ২৪ শতাংশ সম্পত্তি আমার বড় ভাই আবদুর রহিম মানিক জোরপূর্বক ভাবে দখল করে রেখেছেন। সমাজের মেম্বার চেয়ারম্যানদের শালিস বৈঠকের কোন তোয়াক্কা না করে টাকার জোর দেখিয়ে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছেন আমার বিরুদ্ধে। এছাড়াও সে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে বাড়ির চলাচল পথ ও উঠানে রান্নঘর ও টয়লেট নির্মাণ করে। লিখিত অভিযোগে আলাউদ্দিন আরও জানান, বড় ভাই তার টোটাল সম্পত্তি ২৭ লক্ষ টাকা মূল্য ধরে ১৯ লক্ষ টাকা মিথ্যে বায়না পত্র বানায়, পরে আমি এই মিথ্যে বায়না পত্রের বিরদ্ধে নোয়াখালী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯৮ ধারায় মামলা দেয়া হলে আদালত যাচাই-বাছাই করে বায়নাপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই আব্দুর রহীম আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে আমার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও শশুর বাড়ির লোকজন লেলিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় নিজের ক্রয় ও ওয়ারিশি বৈধ সম্পত্তি এবং বাড়ির চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে বসবাসের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,মেয়র মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন। মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার বড় ছেলে আবদুর রহিম মানিক দীর্ঘ ১৫ বছর আমার বরণ পোষণ দেয় না। আমার খোঁজ খবর নিচ্ছে না এবং আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তার শশুর বাড়ির লোকজানের মাধ্যমে আমার ও আমার ছোট ছেলে আলা উদ্দিনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। আমাদেরকে বাড়ির মধ্যে জিম্মি করে রেছেছে। আমরা এই অবস্থা থেকে নিন্তার চাই। এবিষয়ে জানতে সরজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম মানিক কে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জবরদখলের বিষয়ে জানতে চাইলে চরপার্বতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী জানান, স্থানীয় ৪জন মেম্বারসহ দীর্ঘ ১ মাস যাবৎ মাপঝোপ করে উভয়ের জায়গা সীমানা করে দেয়া হয়েছে, এবং অবৈধভাবে বাড়ির উঠোনে তোলা পাকের ঘর সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।