আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার দোহার উপজেলায় কোরবানী যোগ্য দুই শতাধিক পশু প্রস্তুত করেছে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম। তাই শেষ সময়ে হাটে তুলতে বিভিন্ন জাতের পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরু মোটাতাজা করতে কোন রকম রাসায়নিক জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং অর্গানিক উপায়ে গরুগুলোর খাদ্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এসব পশু দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা। আগেভাগে অনেকে খামারে গিয়ে কোরবানির পশু পছন্দ করে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে বুকিং দিচ্ছেন ক্রেতারা। আবার অনেকে খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের পশু। ঢাকার দোহার উপজেলার বানাঘাটা এলাকায় অবস্থিত টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফামর্ । মাত্র ২টি গরু দিয়ে ২০২০ সালে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফাম কর্ণধার তানভীর আহমেদের বাবা ও দাদার কৃষি কাজে জড়িত থাকার অনুপ্রেরণায় শুরু হয় ফার্মটি। আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুত করেছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের প্রায় দুইশতাধিক ষাড় গরু। ক্রেতাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই শাহীওয়াল, দেশী, ফিজিয়ান, গির ও হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ানসহ ৫ জাতের ষাড় এখানে লালন পালন করা হচ্ছে। আর এসব ষাড় পরিচর্চায় সার্বক্ষনিক ২ জন প্রতিষ্ঠিত পশু চিকিৎসক, একজন প্রাণী সম্পদ অফিসারসহ ২৫ জন অধিক কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। সকাল থেকে শুরু হয় তাদের পরিচর্চার কাজ। টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের খামারে ২ শতাধিক কোরবানীর পশু রয়েছে। এরই মধ্যে কিছু গরু বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের খামারে ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু রয়েছে। দামও ক্রেতাদের সামর্থের মধ্যে। সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা দামের গরু আছে। সর্বনি¤œ ২ লাখ টাকা। লাইভ ওয়েট ২৫০ কেজি ৮০০ কেজির অধিক। তিনি বলেন, আশা করছি এবারের ঈদে বিক্রি ভালো হবে। ইতোমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে এবং আমাদের কিছু গরু বুকিং হয়ে গেছে। বাকিগুলোও আশা করছি ঈদের আগে শেষ হয়ে যাবে। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতা ঞঈখ খামারের শতভাগ মানসম্পন্ন গরু দেখতে এবং বুকিং দিতে ভিজিট করছে। টিসিএল এগ্রো ফার্মেও স্বার্বখনিক ডাঃ মো. মিজানুর রহমান বলেন আমাদের এ খামারে বায়োসিকিউরিটি হাইজিন এবং সার্বক্ষণিক পরিচর্চার বিষয়গুলো মনিটরিং করার জন্য আধুনিক সার্ভিলেন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে ষ্মার্ট সিষ্টেম চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা সকল পশুগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করতে পারছি। টিসিএল এগ্রোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক আহসান হাবীব নওয়াব বলেন, কোরবানির পশুর পশু দেখতে সরাসরি খামারে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের এ খামারে কাঁচা ঘাস, ধানের কুড়া, ভুসি, ছোলা ও মশুরিসহ সম্পূর্ণ অর্গানিক ও নির্ভেজাল খাবার খেতে দেয়া হয়। যার কারনে গরুগুলো সূস্থ্য সবল সুঠাম হয়। ক্রেতারা এখন কিনলে কিছুটা কমে কিনতে পারবেন। দোহার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন বলেন, দোহার উপজেলায় ৩ হাজার ৩শ প্রান্তিক খামারি তাদের গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন। চাহিদার তুলনার চেয়েও এবার বেশী গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। পশুর কোন ঘাটতি হবে না।