চকরিয়ার বরইতলীতে ঘুর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়া বসতঘর পুনরায় বাঁধতে বাধা দেয়ায় ঝড় বৃষ্টিতে অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে অসহায় বিধবা গোলবাহার। এমন অভিযোগ উঠেছে বরইতলী ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়ার ভুমিদস্যু দেলোয়ার হোছন ও তার সন্তানদের বিরোদ্ধে। সরেজমিনে বরইতলী ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুস ছালামের স্ত্রী বিধবা গোলবাহার(৩৮) জানান, বিগত ২৬ মে ২৪ এর ঘুর্নীঝড় রেমাল” তান্ডবে তাদের বেড়ার ঘরটি ভেঙ্গে লুটিয়ে পড়েছিল। দরিদ্রতার কারনে ঘর বাঁধার জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও বাঁশের পুরানো বেড়া যোগাড় করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাঁধার প্রস্তুতি নিয়ে সামগ্রী নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। এমতাবস্থায় পাশের বাড়ীর সৌদি প্রবাসীর পিতা দেলোয়ার হোছন ও তার পুত্র আবুল কাসেম(২৫) ও আবু তাহের(২০) অতিরিক্ত জমি ভোগ করার পরও আরো জমি পাবে দাবী করে ঘর বাঁধতে বাধা দেয়। এতে সংগ্রহ করা আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একই সাথে ঝড় বৃষ্টিতে অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে অসহায় বিধবা গোলবাহার। বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান বলেন, বিগত ২৬ মে’র ঘুর্নীঝড় “রেমালের” তান্ডবে গোলবাহারের বেড়ার ঘরটি ভেঙ্গে লুটিয়ে পড়েছিল। কিন্তু পুনরায় ঘরটি নির্মানে বাধা দিয়েছে তাদেরই নিকটাত্মীয় প্রভাবশালী দেলোয়ার ও তার পুত্ররা। এব্যাপারে বিধবা গোলবাহার আবেদনের প্রক্ষিতে শালিসি বৈঠক চলছে। চেয়ারম্যান আরো বলেন দুই একদিনের মধ্যে আশাকরি মিমাংশা হবে বলে আশা করছি।