বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে কোনো প্রভু নেই মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দাসত্ব, ইজারা কাকে বলে ভুলে কি গেছেন। নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরের দিন সকালে ভারতীয় হাইকমিশনে অফিস বন্ধ থাকা অবস্থায় অফিসের সামনে বিএনপি নেতারা ফুলের মালা আর মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। মনে আছে? দালালি করতে চেয়েছিলেন পারেননি। পাত্তা পাননি। যত দোষ নন্দ ঘোষ আওয়ামী লীগের।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের সাথে বন্ধুত্ব। আপনারা দাস হয়েও ভারতের সমর্থন চান। ক্ষমতার জন্য যে কারো দাসত্ব মেনে নিতে আপনাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা বন্ধু আছি, বন্ধু থাকতে চাই। বিদেশে আমাদের সবাই বন্ধু।
আমাদের প্রভু কেউ নেই। আপনাদের প্রভু আছে। প্রভুরা বসাতে পারেনি। মনে আছে- কথায় কথায় নিষেধাজ্ঞা, কথায় কথায় ভিসানীতি। জজ মিয়া নাটকের পর মিয়ান আরেফি নাটক। মিয়ান আরেফি বাইডেনের না কি বন্ধু। হঠাৎ করে ২৮শে অক্টোবর মিয়ান আরেফিকে বাইডেনের বন্ধু বানিয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসা। পরে দেখা গেল বাইডেনের বন্ধু ভুয়া।
কাদের বলেন, বিএনপির কর্মসূচির নাম মেড ইন লন্ডন। নতুন নেতৃত্ব পাঠায় ফরমান আকারে। সেই নতুন নেতৃত্ব লন্ডন থেকে বানায়। কর্মসূচি লন্ডন থেকে দেয়। এ কর্মসূচি কেউ মানে না। বাংলাদেশের মানুষ এ কর্মসূচি মানে না। তিনি বলেন, মারামারি করবেন না। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতিবাজদের কারো ঠাঁই নেই। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর। যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মধ্যে কত যে দুর্নীতিবাজ। বিএনপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা খাটে না। বিএনপি মানে দুর্নীতিবাজ দল। জাতীয়তাবাদী দুর্নীতি দল। আমরা শক্তি আমরা বল জাতীয়তাবাদী দুর্নীতি দল। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে লজ্জা করে না। তাদের নেতা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে লন্ডনে আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। সে দুর্নীতিবাজকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সে নির্বাচিত সরকার হটানোর পায়তারা করছে। তিনি বলেন, আন্দোলন করেন। তবে সহিংসতা করলে খবর আছে। খেলা হবে দুর্নীতি, অস্ত্রবাজি, সাম্প্রদায়িকতা, ভোট ডাকাতা, সহিংসতার বিরুদ্ধে। আমরা মাঠে আছি মোকাবিলা করবো।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নফির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রমুখ।