সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে তীব্র যানজট রয়েছে। মূলত কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় আশপাশের সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলামটর, কাওরানবাজার, পান্থপথ, সায়েন্স ল্যাব, তেজগাঁও, আগারগাঁও, মিরপুর রোড, মগবাজারসহ বেশিরভাগ সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। প্রধান সড়কে যানজটের প্রভাবে প্রতিটি এলাকার অলিগলিতেও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে নগরবাসীসহ এইচএসসি পরীক্ষা শেষে ঘরে ফেরা শিক্ষার্থীরাও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী মিথিলা বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে বের হয়ে দেখি রাস্তায় তীব্র যানজট। ইচ্ছে ছিল দ্রুত বাসায় গিয়ে রেস্ট নেবো। যানজটের কারণে সেটা হচ্ছে না।’
আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে প্রচ- যানজট শুরু হয়েছে। হয়তো শাহবাগের প্রভাবে যানজট সারা রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এত যানজট আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।’
কাওরানবাজারে বিকল্প পরিবহনের বাসচালক বাবু বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শাহবাগ আন্দোলনের কারণে রাস্তায় জ্যাম বাড়ছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আমাদের আয় কম হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে থাকতে হয়। অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটেই চলে যাচ্ছেন।’
আরেক বাসচালক জীবন বলেন, ‘কয়েক দিনের তুলনায় আজ যানজট বেশি। যানজট বেশি থাকলে আমাদের আয় কম হয়।’
তেজগাঁও ট্রাফিক সিগন্যালে ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. রাসেল বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যানজট নিরসনের চেষ্টা করছি। নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে আমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ সকাল থেকে রাস্তায় তেমন চাপ ছিল না। শাহবাগ এলাকায় টানা কয়েক ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে যানজট বাড়তে থাকে। এতে বেশ কিছু সড়কে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। তবে আমরা দ্রুত যানজট নিরসনের চেষ্টা করছি।’