ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল হোসেন বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী একজন নেতা। দলের ক্রান্তিকালে বারংবার দলের হাল ধরেছেন , সাথে বরন করেছেন প্রায় শতাধিক মামলা। আবার বিভিন্ন সময় একাধিকবার হামালার শিকারও হয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল হোসেন ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খামার মুন্দিয়া গ্রামের এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত গাজেম আলী মন্ডল ও মাতা চেয়ারুন নেসা। সাত ভাই ১ বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। বর্তমান সময়ে বর্ষীয়ান এই নেতা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ইসরাইল। ১৯৬৮ সালে রাজনীতিতে হাতেখড়ি নলডাঙ্গা ভূষণ হাইস্কুলের গন্ডি থেকে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করাকালীন সময়ে নানা গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৭১ সালে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,সাধারন সম্পাদকসহ সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। পরবর্তীতে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে তার ত্যাগ বেশ আলোচিত। রঙাঙ্গনের এই বীর সেনানি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ১৯৭১ সালে মুজিব বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশকে করেছিলেন দখলমুক্ত।দেশ স্বাধীনের পর আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত এই নেতার সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে থাকেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি মানসিক ও শারিরিকভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন অনেকবার। ১৯৭৭ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৮৪ সালে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ ৪ আসন থেকে তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বাছাই পর্বে বাতিল হন তিনি। মনোনয়ন থেকে ছিটকে গেলেও আজও পর্যন্ত দলের সাথে বেইমানি বা দলছুট হননি কখনো। ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯ ৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারীর এক একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে যেয়ে হামলা মামলা শিকার হয়েছেন। আসামী হয়েছে শতাধিক মামলার। কালীগঞ্জ উপজেলার এক সময়ের দাপুটে এ নেতা রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে ২ বার চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ এ উপজেলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত দুই জন সংসদ সদস্য প্রায়ত হলে বর্ষীয়ান নেতা ইসরাইল হোসেনের নাম বিভিন্ন মহলের আলোচনায় উঠে আসে। কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগে শৃংখলা ফেরাতে করনীয় ও রাজনীতিতে আপনার অবস্থান কি? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। তাই এখানে লবিং গ্রুপিং থাকবে। তবে আমি দলকে শৃংখল রাখতে বরবরাই কাজ করেছি, এখনো করছি। অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল আমাকে মনোনিত করলে অবশ্যই দলের প্রতি আনুগত্য হয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করবো। এবং এ উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে শৃংখলা ফিরাবো ইনশাআল্লাহ।