জামালপুর সদরে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ভেলা পিঙ্গলহাটি এলাকায় বৈধ জমি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা ও নিজ দখলীয় জমিতে গেলে প্রাণ নাসের হুমকী প্রদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিরীহ আনোয়ারা বেগমের পরিবার। শনিবার সকালে শরিফপুর ইউনিয়নের ভেলা পিঙ্গল হাটি গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী ইসলামইল হোসেন। এ সময় বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ভেলা পিঙ্গলহাটি গ্রামের তার স্বামী ইসমাইল হোসেন পৈতিক ভাবে প্রাপ্ত হয়ে আনোয়ারা বেগমকে (সাব কওলা মূলে প্রাপ্ত) ৩১ শতক জমির ডিজিটাল জরিপ,হালনাগাদ জমির খাজনা –খারিজ প্রদান ও বৈধ কাগজপত্র সহ নিজ পুকুরে পানা পরিস্কার করতে যায়। এ সময় একই এলাকার আবুল হোসেন ও জয়নালের পরিবারবর্গ জোরর্পূবক বাধা প্রদান করা সহ আনোয়ারা বেগমের নিজ দখলীয় ৩১ শতক পুকুরের জমিতে গেলে নিরীহ ইসলামইল হোসেন ও আনোয়ারা বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে গত ১১ জুলাই জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (যার নাম্বার ৭২২) করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, সদরের ভেলা পিঙ্গলহাটি গ্রামে বিআরএস ১০৯ খতিয়ান, বিআরএস ২৪৫ নং দাগে, ৬২ শতাংশ ভূমির কাতে ৩১ শতাংশ জমি রয়েছে।দীর্ঘদিন থেকে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোছাঃ নাসিমা আক্তার, মোছাঃ বিনা খাতুন, মোছাঃ নুরজাহান ও মোছাঃ কহিনুর পার্শবর্তী নিরীহ মোঃ ইসলামাইল ও আনোয়ারা বেগমের জমি নিয়ে মামলা ও বিরোধ করে আসছিল। এ বিষয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে সিআর মামলায় নিন্ম আদালত ও সিনিয়র জেলা জজ আদালতে মামলা করে ।বিজ্ঞ আদালত আনোয়ার বেগমের জামির কাগজের বৈধতা ও ডিজিটার জড়িপ এর কাগজের সত্যাতা পেয়ে জমির দখল ও মালিকানা হিসেবে আনোয়ার বেগমকে রায় প্রদান করে। সেই সাথে জমির বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারার কারনে বিজ্ঞ আদালদের নির্দেশে মামলার ১ ও ২ নং আসামী ভূমিদস্যু মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ জয়নাল আবেদীনকে জেল হাজতে প্রেরন করে। এই অবস্থায় ভূমিদস্যু মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ জয়নাল আবেদীন এর পরিবার মামলা তুলে নিতে নানা হুমকী ধামকী ও আনোয়ারা বেগমের জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তার ও প্রাণ নাসের হুকমী প্রদান করে আসছে। এমতবস্থায় নিরীহ আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী ইসমাইল হোসেন সহ তিনটি কন্যা সন্তান নিয়ে তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছে নিরীহ পরিবারটি।