রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

খা-খা রোদে স্থবির জনজীবন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

গত তিনদিন ধরে গাইবান্ধা জেলাজুড়ে খা-খা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া বন্যা ও চলমান কারফিউর ধকল সামলিয়ে উঠতে না উঠতেই প্রাকৃতিক খড়ার কবলে পড়েছে এই জেলার মানুষ। চরাঞ্চলসহ জেলার চারিদিকে যেন মানুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস। এসব মানুষ একটু স্বস্তি পেতে ছুটছেন এদিক-সেদিক। কেউ বা ছুটছে গাছতলায়। আবার অনেকে ঠা-া পানীয় ও আইসক্রিম খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা অঞ্চলে দেখা যায়- গরমের ফাঁদে পরা মানুষের হাঁসফাঁসের চিত্র। এসময় কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে রিকশা-সিএনজি নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যের দিকে। তাতে ঘাম ঝড়া দেহ নিয়ে হাপাচ্ছিলেন তারা। দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলায় গত ৩ দিন ধরে দিনের বেলায় প্রখর রোদের ঝলকানি। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা বাড়ি ও পথঘাট। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনী গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরা কোন কাজই মনোযোগি হতে পারছে না। অফিস আদালতের কর্মজীবিদেরও উষ্ঠাগত অবস্থায়। তীব্র গরমের ঠেলায় তারা ঠিকভাবে করতে পারছে না কাজকর্ম। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা। কাঁঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষকের মাঠে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থায়। অনেকে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরুলে রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বার্ধ্য হয়ে তারা ফিরছে বাড়িতে। এর ফলে শ্রমজীবি মানুষের থমকে গেছে জীবনযাত্রা। বিদ্যমান পরিস্থিতি গাইবান্ধার মানুষদের বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের ডায়রিয়া, স্বর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন। তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে। তবে গরমের সুযোগে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারী দোকানিদের। এসব দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ইত্যাদি জাতিয় ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া মানুষেরা। রাসেল মিয়া নামের এক কনফেকশনারী দোকানি বলেন, সম্প্রতি তীব্র দাবদাহের কারণে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারী দোকানিদের। দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ইত্যাদি জাতিয় ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া মানুষেরা। গাইবান্ধা শহরের ১নং রেলগেটে আসা রিকশাচালক জয়নাল হোসেন বলেন, তীব্র গরম আর রোদে গাড়ি চালানো দায় হয়ে পড়েছে। তবুও জীবিকার তাগিতে ভাড়া মারার চেষ্টা করছি। কিন্তু অসহনীয় গরম আর কারফিউ প্রভাবে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতাল সুপার ডা. মাহবুব হোসেন জানান, গরমে পানি স্বল্পতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপদাহে শিশু, বৃদ্ধ মানুষদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়া ভালো। গত দুইদিন ধরে এই হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বাড়ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com