গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করে গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের সদস্যদেরকে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই আগষ্টের ২১ তারিখ বিএনপি জামাত শিবিররা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। ৫ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করে বিএনপি জামাতরা একপর্যায়ে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। তাই ১৫ই আগষ্ট শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করে গোপালগঞ্জ সহ বিভিন্ন উপজেলার লক্ষাধিক নেতাকর্মী সহ সাধারণ জনতা শেখ হাসিনাকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনার অঙ্গিকার করেন। সকাল ৯ টা থেকে বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা সমাধীতে মিছিল নিয়ে উপস্থিত হতে থাকে, ১০ টার পরে গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সমাধীর বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ধীরে ধীরে সমাধী প্রাঙ্গনে জনসমুদ্রের রূপ নেয় এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য ফুলের ঢালায় ঢালায় ভরে যায় সমাধী বেদীস্থল। একের পর এক বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা ও দুরুদ পাঠ করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন। এসময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট বোন শেখ রেহানার জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে এই ঘোষণা দেন। এরপর সমাধীর মসজিদে শেখ মুজিবুর সহ পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়। এরপরে সাধারণ মানুষের মাঝে কাঙ্গালীভোজ বিতরণ করার মধ্য দিয়ে সকল কর্মসূচী সমাপ্তী করা হয়।