বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পদাবনতি ঘটিয়ে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। গত রোববার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দুলুকে দেয়া হয়েছে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, গত শনিবার রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর এক বিতর্কিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে এই সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এই নোটিশে বলা হয়, ১৬ আগস্ট ২০২৪ ‘টিভি-পত্রিকায় খুনি হাসিনার ছবি ও বক্তব্য প্রচার করলে জ্বালিয়ে দেয়া হবে’ মর্মে আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ইত্তেফাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বিডিনিউজ, ঢাকা পোস্ট, জাগো নিউজ, বাংলা ট্রিবিউনসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আপনার এ বক্তব্য বিএনপির নীতি ও আদর্শের চরম পরিপন্থী। বিএনপি দেশের একটি উদার ও বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ দলটি কখনোই দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকা-কে প্রশ্রয় দেয় না। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ নিপীড়ন ভোগ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি কোমলমতি শিক্ষার্থী ও জনতা নিজেদের জীবন দিয়ে রক্তঝরা আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়ে বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, আপনার বক্তব্য সেটিকেও কালিমালিপ্ত করেছে। আপনার বক্তব্যটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অনভিপ্রেত ও বিএনপির গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতি কুঠারাঘাত। বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে আপনার এই বক্তব্য গত দেড় দশক ধরে রক্তস্নাত পথে বিএনপির নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মহিমাম-িত অবদানকে হেয়প্রতিপন্ন করার শামিল। সুতরাং আপনার উল্লিখিত বক্তব্যের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ জানিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি লিখিত জবাব জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, একটি রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে তাকে সতর্ক করলেই হতো। পদাবনতি দিয়ে,‘লঘু পাপে গুরু দন্ড’ দেয়া হয়েছে।