ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫আগস্টে নতুন করে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এ স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে কবি,সাহিত্যিক ও শিল্পীদের দায়িত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাদের প্রতিটি সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে জনগণের সামনে ফ্যাসিবাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। আর যেন কোনভাবেই ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসতে পারে, সেই লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদের নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করার দায়িত্ব যথাযথভাবে করতে ব্যর্থ হলে এ অর্জন ধরে রাখা কঠিন হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির মিলনমেলায় প্রধানঅতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলনমেলায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালচারাল একাডেমির সেক্রেটারি ইব্রাহীম বাহারী। পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা ও শিক্ষা তুলে ধরেন আকরাম মুজাহিদ। বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সালাহউদ্দিন সুমন, শিল্পী হাসনাত কাদের, কাটুর্নিস্ট চারুশিল্পী ইব্রাহীম মন্ডল, কথাসহিত্যিক সিনিয়র সাংবাদিক হারুন ইবনে শাহাদাত ও শিল্পী আবদুস সালাম প্রমুখ।
সভাপতি আবেদুর রহমান সমাপনী বক্তব্যে সদস্যদের সামনে আগামীদিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন গোলাম মাওলা.মেরাদুল মুনেম, ইয়াকুব বিশ^াস, মারুফ বিল্লাহ, হাসিবুর রহমান, সাইফুল্লাহ মানসুর (জুনিয়র) ও বিসিএ’র বিভিন্ন জোনের শিল্পীরা। প্যারোডি ভাষণ দেন মুজাহিদ।