অনেক কারণেই এ টেস্টে বাংলাদেশ দলের কাছ থেকে তেমন কিছু প্রত্যাশা ছিল না কারোরই। অতিবড় বাংলাদেশ সমর্থকও তেমন বড় কিছু আশা করেননি। তাদের মতই চিন্তা ছিল নাজমুল আবেদিন ফাহিমেরও।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এ পরিচালকেরও ধারণা ছিল, আহামরি কিছু করা কঠিন হবে টাইগারদের। কেন ভাল খেলার সম্ভাবনা কম, কী কারণে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে টেস্ট জয়ের সম্ভাবনা অনেক কম? তার ব্যাখ্যাও আগে ভাগেই সাজানো ছিল ফাহিমের মনে।
এ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞর ধারনা ছিল, ‘পাকিস্তান শক্তিশালী দল। পাকিস্তানের মাটিতে খেলা। পাকিস্তান গিয়ে পাকিস্তানকে হারানো কঠিন। দলটির বোলিং বেশ শক্তিশালী ও ধারালো। সব মিলিয়ে জেতাটা বেশ কঠিন হবে। তাই ফাহিমের কথা, সে ধারণা থেকে জয়ের প্রত্যাশা করিনি। খুব ভাল খেলে সমান তালে লড়ে যদি ড্র করা যায়, সেটাই হবে খুব ভাল ফল। ফাহিমের ভাষায়, সেটাই ভেবেছিলাম। তাই তেমন প্রত্যাশা ছিল না।’
আরও একটি কারণে এমন জয়ের আশা জন্মায়নি। ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘সত্যি বলতে কি আমরা সাধারণত টেস্টে যে ধরনের ক্রিকেট খেলি, তা দিয়ে এমন জয় রীতিমত অকল্পনীয়। আমরা গড়পড়তা ক্রিকেট খেলি। টিম পারফরমেন্স হয় খুব কম। বিচ্ছিন্নভাবে এক-দু’জন ভাল খেলে। একটি কি দুটি মাঝারী ইনিংস থাকে। বোলারদের মধ্যে হয়ত কেউ একজন একটি বা দুটি আকর্ষণীয় স্পেল উপহার দেন; কিন্তু দল জিততে যে ধরনের কার্যকর টিম ইফোর্ট ও টিম পারফরমেন্স লাগে, তা হয় খুব কম। তাই সেভাবে আশাও করিনি; কিন্তু রাওয়ালপিন্ডিতে যেভাবে জিতলাম, সেটা ট্রিমেন্ডাস পারফরমেন্স দিয়ে স্মরণীয় জয়। দারুণ ব্যাপার।’
ফাহিম আরও বলেন, ‘এটাতো আর ২০ ওভারের খেলা না যে, হঠাৎ ছন্দ পেয়ে ফ্লু’কে জিতে গেলাম। ৫ দিনের টেস্ট, প্রতিটি সেশন গুরুত্বপূর্ণ। একটি সেশনে খারাপ খেললে চলে যেতে হবে ব্যাকফুটে। সেখান থেকে বেরিয়ে জেতা কঠিন। একতালে, একছন্দে খেলা জরুরি। সেই কাজটা করে দেখিয়েছে ছেলেরা। খেলে জিততে হয়, সেটাই বাংলাদেশ দল করে দেখিয়েছে। তাই বলছি আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স।