লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের রাস্তারহাট মাজহারুল উলুম আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও রামগতি উপজেলা আওয়ামী ওলামালীগ নেতা ইসমাইল হোসেনের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার সকালে মাদরাসার ক্যাম্পাস থেকে শতশত শিক্ষার্থী ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সহ স্থানীয় বান্দেরহাট বাজারে এসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এসময় মোঃ রাকিব উল্লাহ, মোঃ মাজেদ, মোঃ নোমান উদ্দিন বকুল ও মোঃ মামুন সহ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, রামগতি উপজেলা আওয়ামী ওলামালীগ নেতা প্রিন্সিপাল ইসমাইল হোসাইন মাদরাসার এক শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের সাথে নারী কেলেঙ্কারী সহ মাদরাসায় শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারী নিয়োগে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য করেন। মাদরাসার আয় ও ব্যায়ের হিসাবে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন তিনি। এছাড়া মাদরাসার ল্যাপ্টপ কম্পিউটার চুরি করে নিজের বাড়ীতে নিয়ে যান এ প্রিন্সিপাল। আওয়ামীলীগের ১৮ বছরে মাদরাসাকে নিজের একক আধিপত্য বিস্তার করে সম্পুর্ন একগুঁয়েমি করে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ তছরুপ করেছেন। মাদ্রাসাকে আওয়ামীলীগের দলীয় অফিসে পরিনত করেছেন এ প্রিন্সিপাল। আর প্রিন্সিপালের এসব অনৈতিক কাজের মুল সেল্টার দিতেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও মাদরাসার কম্পিউটার অপারেটর মোঃ হারুন। শেখ হাসিনা সরকারের পথনের পর থেকে প্রিন্সিপাল ইসমাইল ও কম্পিউটার অপারেটর হারুন মাদরাসায় অনুপস্থিত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রিন্সিফাল ও কম্পিউটার অপারেটর হারুনের পদত্যাগ দাবী করেন। এসব অভিযোগের ভিক্তিতে শিক্ষার্থীরা তার অপসারণ চাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাদের মাস্টার ও জামায়াত সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এবিষয়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল ইসমাইল হোসেনের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, মানববন্ধনের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।