বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরায় ৮৭ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি লিখে না দেওয়ায় প্রতিকারের দাবিতে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ সালাউদ্দীন লিটন এর বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণে বায়না মূলে ৮৭ লক্ষ পরিশোদের পর বাকি ৬৩ লক্ষ টাকা দিতে চাইলেও বাড়ি লিখে না দিয়ে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিরেযাগ করেন, পলাশপোল এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী গৃহবধূ ফারজানা রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ৯ বছর আগে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ সালাউদ্দীন লিটন এর কাছ থেকে চার তলা বিশিষ্ট একটি বসত বাড়ী ক্রয়ের জন্য এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারণে বায়না মূলে ৮৭ লক্ষ টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে বাকী ৬৩ লক্ষ টাকা জোগাড় কওে বাড়িটি রেজিষ্ট্রী করে দিতে বললে লিটন আজকাল করে টালবাহানা করতে থাকেন। বাড়ী রেজিষ্ট্রী করে না দেওয়ার একপর্যায়ে আমি পরিবার নিয়ে উক্ত বাড়ীর চতুর্থ তলায় বসবাস শুরু করি। ফারজানা রহমান বলেন, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের পতন হলে সেই সুযোগে সালাউদ্দীন লিটন ও তার স্ত্রী উর্মি খাতুন আমার ঘরের সামনে গিয়ে হুমকি দিয়ে ৬ আগষ্ট বিকাল ৫টার মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। তা না তারা আমাকে পুড়িয়ে হত্যা করবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। লিটন খুব দাম্ভিকতার সাতে বলে সারা সাতক্ষীরা জ্বালাতে আমার ১০ মিনিট সময় লেগেছে আর তোকে পোড়াতে আমার এক মিনিটও লাগবে না। তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘর থেকে চলে না যাওয়ায় ৬ আগষ্ট দুপুর ২টার দিকে সালাউদ্দিন লিটন সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩৫/৪০ জন সশস্ত্র ব্যক্তিদের নিয়ে চার তলা ভবনের চতুর্থ তলায় আমার বসবাসকৃত রুমের মধ্যে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আমাকে ব্যাপক মারধর সহ বাসার মধ্যে ধংসযোগ্য চালায়। এসময় লিটন আমার চুলের মুঠি ধরে লাথি মারতে মারতে চার তলা থেকে নিচ তলায় নিয়ে আসে এবং তার সাথে থাকা অন্যান্যরা আমার সন্তানদেরও বেদম মারপিট করে। এসময় তারা আমার ঘরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, আনুমানিক ১৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার সহ যাবতীয় সাংসারিক জিনিসপত্র আত্মসাৎ করে আমার ঘরে তালা মেরে চাবি নিয়ে চলে যায়।
এঘটনায় আমি সেনা ক্যাম্পে ও সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। সাতক্ষীরা জেলায় দায়িত্বপালনকারী সেনা কর্মকর্তারা এসে আমার রুমের তালা ভেঙ্গে আমাকে ও আমার পরিবারকে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে রেখে যান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, উক্ত লিটন বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালচ্ছে যে, বাড়ীর সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে।
কিন্তু আদৌ সমস্যা সমাধান না করে আমাকে ও আমার পরিবারকে বাড়ী থেকে মারধর করে বের করে দেওয়ার পায়তারা করছে। একই সাথে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে ২৬ মাসের বাড়ী ভাড়া দাবী জানিয়ে উকিল নোটিশ করেছে। লিটন সম্পত্তির বিষয়টি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তমূলক মন্তব্য করেছেন এবং দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তার আপন ছোট বোনজামাই জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অয়ন কে দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আমার বায়নাকৃত বসতবাড়িটি অবৈধভাবে জবর দখল করে রেখেছে সে। তিনি সুবিচারের দাবিতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেম বোন ফালগুনি, ছেলে অর্নব, প্রতিবেশি কবির হোসেন ও রবিউল ইসলাম প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com