বরিশালের ঐতিহাসিক বেলর্সপাক) বঙ্গবন্দু উদ্যানের নাম পরিবর্তনের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের ছাত্র-জনতা অন্দোলনে নিহত বীর শহীদ আব্দুল্লাহ আল আবিরের নামে নাম করনের দাবীতে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। গতকাল বুধবার (৪) সেপ্টেম্বর বরিশাল নগরীর বান্দরোডস্থ সড়কে স্বাধিনতা ফোরাম বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে একর্মসূচি পালিত হয়। স্বাধীনতা ফোরাম বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে ও বরিশাল মহানগর ১নং স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক তারিক সোলাইমানের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমত উল্লাহ। এসময় তিনি বলেন সারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনে শতাধিক তরুন ছাত্র জনতা যুবকের তাজা প্রান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিত পুলিশ ও দলীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু বরন করেছে। এরকম হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এত হত্যার মত ঘটনা ঘটেনি। এই বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে দাবী রেখে বলেন আপনারা আজ যাদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আছেন তারা কোন ব্যাক্তিগত স্বার্থের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে লড়াই করেনি। তারা জাতীয় স্বার্থে এদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার জন্য সেদিন তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে তাদেরকে এদেশে জাতীয় বীর মাথার তাজ বানিয়ে রাখতে চাই। সেদিন আব্দুল্লাহ আল আবীর তার বোনের কথা উপেক্ষা করে বলেছিলেন দেশের এই ক্লান্তি মুহুর্তে ঘড়ে বসে থাকতে পারিনা আমাকে একটি পতাকা দেওয়া বলে ঘড় থেকে বেড় হয়ে যায় এই বরিশালের সন্তান নর্থসাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আবীর। তাই এই বরিশাল (বেলর্সপাক) প্রশাসনিক নাম বঙ্গবন্দুর ময়দানের নাম বাতিল করে শহীদ আবীর আব্দুল্লাহর নামকরন সহ শেখ হাসিনা নয় মেজর জলিল ক্যান্টমেন্টের নাম রাখার দাবী করেন। এসময় তিনি আরো বলেন বলেন এই বাংলার মাঠিতে খুনি হাসিনার বিচার করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান। এখানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ফোরামের সদস্য সচিব নাজমুস শাকিব, শহীদ আবীরের শোকাহত পিতা মোঃ মিজানুর রহমান, সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম জনি, নুরুল মোমেন কোটন,আনোয়ার হোসেন টিটু,জেলা ছাত্রদেলের সভাপতি মাহফুজুল হক মিঠু, ছাত্রদল নেতা আসিফ আল মামুন,ছাত্রদল নেত্রী অন্যান্য কবীর প্রমুখ। পরে শহীদ আব্দুল্লাহ আবীরের নামে ব্যানার টানিয়ে দোয়া মোনাজাত করেন উপস্থিত স্বাধীরতা ফোরাম নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য গত ১৯ই জুলাই আব্দুল্লাহ আল আবীর গুলিবিদ্ধ হয় এবং ২০ই জুলাই শহীদ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যায়।