শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চেকবই ছিনিয়ে নিয়ে ইচ্ছেমত টাকা তোলাল অভিযোগ মেয়র কন্যা অনির বিরুদ্ধে

এমরান হোসেন লিটন (ফরিদগঞ্জ) চাঁদপুর
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ফরিদগঞ্জ পৌরসভা অফিসের চেকবই ছিনিয়ে নিয়ে নিজের ইচ্ছামত টাকা হাতিয়ে নিতেন মেয়র কন্যা। মেয়র কন্যার জিম্মায় চেক বই থাকায় সময়মত বেতন থেকে বঞ্চিত হতেন কর্মকর্তা কর্মচারিরা। প্রতিবাদ করলে করা হতো মারধর ও চাকরিচ্যুত। প্রতিবাদ করে মেয়রের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারি। মেয়র কন্যা নাজমুনন্নাহার অনি একাদারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলী সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর কন্যা। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত এএসপি রাহুল পাটওয়ারীর বোন ও তিনি নিজে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, আইনজীবী তথাকথিত সাংবাদিক। কখনও গাড়ীতে সাংবাদিক, অথবা পুলিশ লেখা স্টীকার লাগিয়ে পুলিশের হর্ন বাজিয়ে যাতায়াত করতেন। ১৪ মার্চ ২০২১ সালে নাজমুনন্নাহার অনির পিতা ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে আর পেচনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার গাড়ীর মালিক বনে যান। পৌরসভার ৫জন কর্মচারি নিয়োগে হাতিয়ে নিয়েছেন ২৮ লক্ষাধিক টাকা। বাজার, বাসষ্টান্ড ইজাড়া বাবদ হাতিয়ে নিতেন প্রতি বছরে ১০লক্ষটাকা। অক্টোবর ২০২২ সালে ভুয়া কাগজপত্র ব্যাবহার করে ফাতেহা এন্টারপ্রাইজ নামে কোটির ও বেশী টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পৌর ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। ওটএওচ প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আজিজ ব্রাদার্স থেকে ২৭লক্ষটাকা নিয়েছেন। প্রকল্পের একাংশের ১১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকার কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এস এস রহমান থেকে সিংহভাগ কাজ হাতিয়ে নেন মেয়র কন্যা নাজমুনন্নাহার অনি। মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী পৌর মেয়রের দায়িত্ব গ্রহনের পরের বছর আগষ্ট ২০২২সালে অফিস থেকে সকল চেক বই চিনিয়ে নিয়ে যান মেয়র খ্যাত মেয়র কন্যা নাজমুনন্নাহান অনি। নিজের ইচ্ছামত চেকের ব্যাবহার করে হাতিয়ে নিয়েছেন পৌরসভার কোটি কোটি টাকা। সেসময় তার পরিবারের ক্ষমতার দাপটে কেউ-ই প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। কেউ প্রতিবাদ টুকু করার সাহস দেখালে তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছেন। এছাড়া কোন যোক্তিক কারন ছাড়া কয়েকজনকে চাকরি থেকে অব্যহতি দিয়ে বাকিদের ধমিয়ে রেখেছেন।পৌরসভার সকল কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছামত টিসিবির কার্ড বিতরন করতেন। এই নিয়ে কয়েকবার কাউন্সিলরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে টিসিবির কার্ড তার কাছে থাকায় ব্যাহত হয় পন্য বিতরন কার্যক্রম। গত ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তন হলে মূখ খুলতে আরম্ভ করে সবাই। ফরিদগঞ্জ পৌর ক্যাশিয়ার গিয়াসউদ্দিনের ৪৮মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি অডিও বক্তব্যে এসব অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেছেন। পৌর প্রশাসক শাহ সুফিয়ান মেয়র কন্যার চেক বই চিনিয়ে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সেসময় আমরা ভয়ে প্রতিবাদ তো দূরের কথা,কথা বলতে পারিনি। দীর্ঘদিন পৌরসভার চেক বই তার কাছে ছিল, ৫ই আগষ্টের পর পৌরসভার অফিস সহকারি দীনেশের মাধ্যমে চেক বই অফিসে পেরন করেন। চেক বই চিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে নাজমুনন্নাহার অনির মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হরেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com